কনকচাঁপা  

কনকচাঁপা  

ভিডিও/VIDEO
Spread the love


  • বিমল দেবনাথ

সে আসছে। পারুলের দম ফেলার সময় নেই। দার্জিলিং মেল ঢুকল বলে। এনজেপি থেকে আসতে আর কতক্ষণ! পারুলের বকবক চলছে অনেকক্ষণ ধরে- আমার হয়েছে এক কাজের লোক। না, না, কাজের লোক বলা যাবে না; বলতে হবে গৃহকর্ম সহকারী। ঢং! সহকারী যদি হবে কাজের সময় কেন পাওয়া যাবে না? সাতসকালে এসএমএস- ‘দিদি আজ আসব না’। পঁচিশ বছর ধরে কাজ করছিস, তাও মনে দয়ামায়া নেই! কালকে জেনে গেলি বাবুর মামাতো বোন এই প্রথম বাড়িতে আসবে! একটু ভালোমন্দ রান্না করব। হাতে হাতে একটু সাহায্য করবে, না তিনি আসবেন না। বলা নেই কওয়া নেই, পেয়েছে এক এসএমএস, তারপর সেই প্যাঁচার মতো মুখ করে ‘সরি’। নিকুচি করি তোর সরি। এবার ওকে ছাড়ব। দূর করে দেব। এমনিতে সবাই বলে ননদ-বৌদির সম্পর্ক নাকি আদায় কাঁচকলায় হয়। তারপর আবার তুতো বোন। কোনও দিন কি কাউকে এই সংসার নিয়ে কিছু বলতে দিয়েছি। জান কয়লা করে সংসার ধরে রেখেছি। সিদ্ধার্থের মনে হল, কথা নয়, কতগুলো বাসনকোসন মেঝেতে পড়ল।

বিয়ের সময় পারুল এমন ছিল না। সে তখন প্রিয়ংবদা। বাড়ির ছোট্ট বাগানে কনকচাঁপা গাছের চারাটা লাগানোর পর পারুল যেন আস্তে আস্তে কেমন হয়ে গেল। গাছটা বাড়ে পারুলের কথা বলাও বাড়তে থাকে। একমাত্র ছেলে শুভ্র চাকরি নিয়ে বাইরে চলে গেলে পারুলের বকবক আরও বেড়ে যায়। ছেলে যতদিন ঘরে ছিল পারুলের সময় কেটে যেত শুভ্র’র সঙ্গে। ছেলে বড় হবার সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে ওদের আড্ডার বিষয়। কলেজ, গার্লফ্রেন্ড, লিভটুগেদার, অফিস, পরকীয়া আরও কত কী গসিপ। আড্ডার কোন কথার কোন বীজ শরীরের রক্তমাংস খেয়ে বড় হয়ে ওঠে, কে জানে! এখন শুভ্র নেই পারুলের, শুধু বকবক আছে। সাংসারিক কথাবার্তা ছাড়া তেমন কোনও কথা নেই সিদ্ধার্থের সঙ্গে। দাম্পত্যের গরম তরল নিঃসরণ বন্ধ অনেক কাল। সেসব জমে বরফ। ভদ্রলোক বাড়ির ক্ষয়রোগ বোঝা যায় না বাইরের রংবাহারে। সংসারটা চলছে সুশৃঙ্খল ঘড়ির মতো। শুধু টিকটিক শব্দ। কী সুন্দর দত্ত বাড়ি!

মোবাইলের অ্যাপ বলছে দার্জিলিং মেল এক ঘণ্টা দেরিতে চলছে। সচরাচর  দেরি করে না।  সিদ্ধার্থ  কথাটা চেপে গেল। তা না হলে আর এক কাণ্ড শুরু করত পারুল। সব কাজকর্ম ফেলে ফোনে চাঁপার মা’কে ধরত। তারপর চলত তাকে কাজ থেকে বাদ দেওয়া থেকে শুরু করে নিজের কপাল পর্যন্ত। -আমার কপাল খারাপ, তা নাহলে কাজের সময় কাজের লোক আসে না… এই করেই গেলাম, কোনও দিন ভাগ্যের সাহায্য পেলাম না… ইত্যাদি ইত্যাদি। সিদ্ধার্থ আবার কপাল-টপালে বিশ্বাস করে না। মনে মনে ভাবে ভালোই হয়েছে, চাঁপার মা আসেনি। পারুল কাজের ঘোরে ট্রেনের সময়টা ভুলে থাকবে। সিদ্ধার্থ আগ বাড়িয়ে বলে– আমি কি কিছু সাহায্য করব? জ্বলে ওঠে পারুল- কোনওদিন তো সুনাম করলে না। এখন বোনের কাছে বদনাম করবে। কী যে বোন জানি না, নিজের বোন বাদ দিয়ে মামাতো বোন নিয়ে পড়ে থাকে। তারপর যে কথাগুলো বলল সেগুলো মনে রাখতে না চাইলেও লেগে থাকে। সিদ্ধার্থ কথা না বাড়িয়ে চলে যায় দক্ষিণের বারান্দায়।

শিলিগুড়ি হাকিমপাড়ায় দক্ষিণ দিকে অনেকটা জমি ছেড়ে বাড়ি করেছিল সিদ্ধার্থ। বোসবাবু্র বাড়ির উত্তরেও অনেকটা ফাঁকা। সিদ্ধার্থের দক্ষিণের বারান্দাটা খুব প্রিয়।  দাঁড়ালে কিছুটা  সবুজ দেখে। নিজের হাতে লাগানো গাছে বসন্ত আসে, পাতা ঝরে, পাতা গজায়। পাখি ডাকে, বাসা বাঁধে। বেশি ভালো লাগে চিরহরিৎ কনকচাঁপা গাছটা দেখলে। আবেশে যখন সিগারেট টানছিল, বাঁ হাতটা চলে যায় বাঁ থাইয়ের পোড়া দাগটাতে। অতীত কথা বলে ওঠে। ষোড়শীর কথা মনে পড়ে।  জলপাইগুড়িতে মামার বাড়ি যাওয়া তখন নেশা। মামার বাড়ি গেলে সেখানে দেখা হত তার সঙ্গে। তিস্তাপাড়ে খেলত, হাতে হাত নিয়ে হাঁটত, বাগানে গাছপাকা কলা ছিঁড়ে ছুলে দু’দিকে দুজনে লাগাত ঠোঁট, নাকে নাক লাগার আগে খিলখিল করে হেসে পালিয়ে যেত ষোড়শী… কী এক টানে যেন জোড়া লেগে থাকত। এই টান মৌমাছির মধু খাওয়ার মতো নয়। এই টান যেন আলো আর গাছের ডগার। তখন অবশ্য এত গূঢ় কথা ওরা জানত না। থাইয়ের পোড়া দাগের কথাটা মনে হলে এখনও মনে পড়ে সেদিনের কথা। ষোড়শী আবদার করে বেল পোড়া খাবে। বেলকাঁটায় চামড়া চিরে বেল পেড়ে আনে সিদ্ধার্থ। বাগানে বসে বেল পোড়াতে ঘটে বিপত্তি। বেল ফুটে সিদ্ধার্থের থাইয়ে লেগে অনেকটা পুড়ে গেল। ষোড়শীর কী কান্না! ভয় নেই, লজ্জা নেই, মামিকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে- সিদ্ধার্থের কী হবে? সিদ্ধার্থ কি হাঁটতে পারবে? সিদ্ধার্থের হাঁটা বন্ধ হল না। স্বর পালটে গেল। ষোড়শীর লজ্জা বেড়ে গেল। আগের মতো হাত আর ধরা হয় না। শুধু অপলক দেখে থাকত একে অপরের দিকে। দুটো মানুষ যেন একটা পাখির ডানা। উড়তে থাকে অনন্ত আকাশে। আকাশে ঝড় ওঠে, সে ঝড়ের গাছের ডালপালা ভাঙে, ঘর ভাঙে সেসব জানে সিদ্ধার্থ। অসময়ে মামা গেল সেই শোকে মামিও চলে গেল। মামার বাড়িটা না থাকলেও টান ছিল জুবিলি পার্ক, তিস্তার। ছিল লাটাগুড়ির জঙ্গল, মহাকালথানের। থান থেকে ফিরে গিয়ে ষোড়শী যে নিজের স্থান ছেড়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যাবে সেটা  বুঝতে পারেনি সিদ্ধার্থ। ডানা ভাঙা পাখির মতো পড়েছিল কত দিন। তারপর কালের নিয়মে চাকরি হল বিয়ে হল, জীবনে পারুল এল, শুভ্র হল।

ডোর বেল বাজল। পারুল চেঁচিয়ে বলল- দ্যাখো তো চাঁপার মা এল কি না। -না সে আসেনি। পার্সেল এসেছে। -কার। -শুভ্রর। -কে পাঠাল। -ওর পিসি। সিদ্ধার্থের বিয়ের পর আবার খবরাখবর রাখতে শুরু করে ষোড়শী। প্রতি বছর নিয়ম করে শুভ্রর জন্মদিনের আগে একটা গিফট পার্সেলে এসে যায়। সে পার্সেল শুভ্রর হলেও কথা বলে সিদ্ধার্থের সঙ্গে। সিদ্ধার্থ কথা বলার জন্য বোবা হয়ে যায়। সেবার শুভ্র’র প্রথম বছরের জন্মদিন। অনেকদিন পর আবার চলে গেল গরুমারায়। পথে জিপসি থামল মহাকালথানে। বানধাইন মুন্ডাকে একা দেখে অবাক সিদ্ধার্থ। পারুলকে দেখে বানধাইনের চোখ শুকনো পাতা। একবার পারুলকে দেখে একবার সিদ্ধার্থকে। পারুল কিছু বলার আগে সিদ্ধার্থ বলে- ভাবি, মাটি আসেনি।

মাটি মুন্ডা ঠিক কবে থেকে মহাকালথানে বসতে শুরু করেছিল তা কেউ সঠিক বলতে পারে না। দর্শনার্থীদের দেওয়া দক্ষিণার লোভ তাকে চা বাগান থেকে এখানে টেনে আনে। তবে বহুকাল হয়ে গেছে। প্রথমে একাই আসত। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে আসতে শুরু করে বৌ বানধাইনকে। সিদ্ধার্থ মাটির কাছে শুনত বনের কথা, বনের হাতি বাঘের কথা। একদিন মাটি বলেছিল- জঙ্গলে সাপ, বাঘ, বাইসন, হাতি কত কী আছে। তবু সারাদিন চুপ করে বসে থাকি কখন মানুষ আসবে পুজো দিতে। – তোমার ভয় করে না? -ভয় কীসের বাবু, পেটের আগুন চিতার আগুন থেকে বেশি জ্বলে। মহাকাল তো ভগবান। ভগবানের পা পাওয়া তো ভাগ্যের ব্যাপার। মাটি মুন্ডার কথাগুলো শুনে অবাক সিদ্ধার্থ। সাদাকালো লম্বা চুল দাড়ির মানুষটাকে সন্ন্যাসী মনে হয়। জীবনযুদ্ধে মানুষ কত কী হয়! অনেকে মাটিকে মহাকালের পুরোহিত মনে করে। সিদ্ধার্থ কথা না বাড়িয়ে থানের শাল আর চিকরাশি গাছ দুটো দেখতে থাকে। -মাটি এই গাছ দুটো কত পুরোনো? জানিনা বাবু। – তোমরাও এই গাছের মতো অনেক দিন বেঁচে থাকবে। – আমরা গাছ নই বাবু। দেশলাইটা তো দাও… পারুলের কথায় সিদ্ধার্থের ভাবনা কেটে যায়। দেখে বানধাইনের শুকনো চোখ ভিজে উঠেছে। দেশলাই দিয়ে জিজ্ঞাসা করে- মাটি’র কী হয়েছে? – একদিন  পুজোর অনেক চাল কলা নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। জঙ্গলের মধ্যে দেখা হয় মহাকালের। মানুষটাকে এমন করে ধাক্কা মারল যে বুকের দুটি হাড় ভেঙে গেল।… তুই তো কতদিন আসিস না। কোনও কথাই জানিস না। বাড়িতে পড়ে থেকে থেকে মরে গেল মানুষটা। জঙ্গলে মহাকাল মারলে সরকার দেখে না। কেউ দেখল না। সেই দিন তুই কত কথা বলছিলি… মাটির জন্য সিদ্ধার্থের দলাপাকানো কষ্ট আতঙ্কে বাতাস হয়ে বেরিয়ে গেল। পারুল মহাকালকে প্রণাম করে। এখন মহাকাল অনেক শিলায় বিরাজমান। কে যেন শাল চিকরাশির পাশে লাগিয়েছে একটা রুদ্রাক্ষ গাছ।  গাছের তলে দিন-দিন বাড়ছে শিলার সংখ্যা। ধূপ, মোমবাতি, তেল সিঁদুর দিতে পারুলের সময় লাগে। শিলার সিঁদুর সিঁথি ও শাঁখাতে লাগালে চমকে ওঠে সিদ্ধার্থ। পারুল বানধাইনের দিকে তাকালে সিদ্ধার্থ কথা বলে ব্যস্ত রাখে বানধাইনকে- বনটা এখন অনেক পাতলা। অন্ধকার ছায়া ঘন ভয় ভয় ভাবটা আর নেই। গাছের তলে মহাকাল শিলার সংখ্যা বেড়েছে, দক্ষিণাও বেড়েছে নিশ্চয়ই। – না বাবু, এখন কেউ বেশি পয়সা দেয় না।

ঝোরার উত্তর পাড়ে বনের ভেতর হাতিপাইলা গাছটা এখনও দাঁড়িয়ে আছে। পাতাগুলো হাতির পায়ের মতো। নামটা বলেছিল মাটি। কত হাতি কত মানুষের কাম, প্রেম, ভালোবাসা দেখেছে সে। সিদ্ধার্থ পরে জেনেছে গাছটাকে কেউ কনকচাঁপা, কেউ ডিনার প্লেটও বলে। “আমরা গাছ নই বাবু” কথাটা মনে পড়তে হুহু করে ওঠে মন। কনকচাঁপা গাছটা আবার সিদ্ধার্থের মনে ঝড় তোলে। বানধাইনকে বলে একটা চারা তুলে দিতে। বানধাইন একটা চারাগাছ হাতে তুলে দিলে অমলিন হাসি ঝরে পড়ে সিদ্ধার্থের। গাইড কালো মুখ করে বসে থাকে। সিদ্ধার্থের হাসি দেখে পারুল আঁচল কোমরে গুঁজে উঠে পড়ে গাড়িতে। পারুলের ভঙ্গি যেন বলে- ‘একেই বলে ঘর জ্বালানি পর ভোলানি’। সিদ্ধার্থ গাইডকে বলে- আপনি চিন্তা করবেন না। আমি আপনাদের অফিসারকে বলে নেব। সিদ্ধার্থ গাড়িতে উঠে হাঁফ ছাড়ে। ফিরে দেখে বানধাইনের মুখব্যাদানে যেন উপহাস ঝরে।

একটার পর একটা সিগারেট টানতে টানতে সিদ্ধার্থ দেখে কনকচাঁপা গাছটাকে। দোতলা ছাড়িয়ে গেছে। সারা বছর সবুজ থাকে। পাতা ঝরে পাতা গজায়। সবুজের মধ্যে কত হলুদ কালো রং। বসন্ত এলে পাঁচ পাপড়ির সুগন্ধী সাদা ফুল ফোটে। গন্ধে ম-ম করে বাড়ির চত্বর। আজ যেন শীতে বসন্ত নেমেছে। পুরো বাড়ির অলিন্দে অলিন্দে যেন কনকচাঁপার গন্ধ। মাঘী পূর্ণিমার জ্যোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছে চারদিক। হাতিপাইলার পাতাগুলো চকচক করছে। সিদ্ধার্থ আজ অনেকটা রাম খেয়ে ফেলেছে একা একা। শখে না শোকে সে  নিজেও জানে না। পারুলের কর্কশ শাসানি আর ষোড়শীর বরফশীতল চাহনি, কোনও কিছুই থামাতে পারেনি তাকে। সিদ্ধার্থের বুকের ভেতর খুব ব্যথা। সত্য কথাটা সাহস করে প্রথম দিন বলে দিলে মিথ্যার জাল বড় হত না। কথা লুকোনোর কষ্ট কর্কট রোগের মতো শরীর ছেড়ে সংসারে পড়েছে। কনকচাঁপা কি ওর সংসারে কর্কট রোগের কারণ? ব্যথায় দমবন্ধ হয়ে আসছে সিদ্ধার্থের। পারুল কি বুঝতে পারেনি সিদ্ধার্থ বিছানা ছেড়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে।

কত রাত সে এইভাবে একা বারান্দায় দাঁড়িয়ে কনকচাঁপার সঙ্গে কথা বলেছে। পারুল কি কোনও দিন জেগে ওঠেনি? নাকি সে জেগে ছিল বলে আস্তে আস্তে ঘুমের দেশে চলে যাচ্ছে। বাড়ছে বোবায় ধরা মানুষের মতো বকবক। কনকচাঁপা তুমিও কি ঘুমোচ্ছ? কতদিন পর তোমাকে দেখলাম। তোমাকে খুব ছুঁতে ইচ্ছা করছে… একবার। মনে আছে সেবার বনের ভেতর চুমু খেতে গেলে তুমি বলেছিলে বিয়ের আগে সে সব হয় না। আমি মহাকাল শিলা থেকে সিঁদুর তুলে নিয়ে তোমার কপালে লাগিয়ে দিয়েছিলাম। সাক্ষী ছিল পুরোহিত মাটি ও তার বৌ বানধাইন। বলেছিলাম ষোড়শী আজ থেকে তুমি আমার কনকচাঁপা। আরও কত কথা দিয়েছিলাম তোমাকে ও মাটিকে।  তারপর গভীর বনের ভেতর কত চুমু খেয়েছিলাম। তোমার নরম শরীরটা আস্তে আস্তে শক্ত হয়ে উঠছিল। তুমি একটাও চুমু দাওনি। বলেছিলে আমি নাকি লোভী, কামুক। তুমি তো প্রেমিক, কীভাবে এমন ঘুমোও? ষোড়শী আমার বুকে খুব ব্যথা করছে। একবার এসে শেষ বারের মতো জড়িয়ে ধরো। এতে পাপ কীসের। সবাই যা জানে সে তো সত্য নয়। তুমি তো আমার প্রথম প্রেম। তুমিই তো আমার প্রথম গোপন স্পর্শ। একথা জানে না কেউ। জানে না সেও। নাকি জানে বলে সরে গেছে আস্তে আস্তে। মেয়েরা কি জানে না আস্তে সরে যাওয়াতে তীক্ষ্ণ ধার থাকে। মনকে ক্ষতবিক্ষত করে। তার চেয়ে বড় ভালো হত ঝড় তুলে কাচের তাজমহল ভেঙে দিলে। আমি তো এমনিতেই ভেঙে গেছি পারুল। আমি তো…

সিদ্ধার্থ হঠাৎ পড়ে যায় বারান্দায়। শুভ্র… বলে চিৎকার করে কেঁদে ওঠে পারুল। পেছন থেকে পারুলের কাঁধে হাত রাখে মিস ষোড়শী। বলে- আমি আছি পারুল, ভয় পেও না। আমি ষোড়শী নই, আমি কনকচাঁপা। গাছ হয়ে গেছি সেই কবেই।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *