কতটা নিরাপদ ব্যোমযাত্রীর ঘর ফেরা? নিশ্চিত করতে ইসরোর সফল ‘এয়ার ড্রপ’

কতটা নিরাপদ ব্যোমযাত্রীর ঘর ফেরা? নিশ্চিত করতে ইসরোর সফল ‘এয়ার ড্রপ’

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গগনযান মিশন নিয়ে তৎপর ইসরো। এবার মহাকাশযানের ‘এয়ার ড্রপ’ পরীক্ষায় বড় সাফল্য পেল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। অন্তরীক্ষে বিচরণের সময় ব্যোমযাত্রীরা যে ঝুঁকিতে থাকেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাপারটা ঘটে পৃথিবীতে ফিরে আসার সময়। অভিকর্ষ শক্তির ফলে দ্রুত গতিতে সমুদ্রপৃষ্ঠের দিকে ধেয়ে আসে ‘এয়ার ড্রপ’। তাকে ধীরে নামতে সাহায্য করে প্যারাসুট। তীব্র গতির কারণে প্যারাসুটের দড়ি ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তা কতখানি শক্তিপোক্ত এদিন পরীক্ষা করে দেখল ইসরো।

দুর্ঘটনা এড়াতেই মহাকাশযানের নাইলনের দড়িগুলির নির্ভরযোগ্যতা পরীক্ষা করল ইসরো। যে কাজে ভারতীয় বায়ুসেনার চিনুক হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে ইসরো জানিয়েছে, তারা গগনযান মিশনের জন্য ‘এয়ার ড্রপ’ পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। যার ভিতরে থাকেন মহাকাশচারীরা। ‘এয়ার ড্রপ’টি যখন বঙ্গোপসাগরের বুকে নেমে আসে তখন প্যারাশুটগুলি খুলে গিয়ে এক অপূর্ব দৃশ্য তৈরি হয়।

যৌথভাবে এই পরীক্ষা সফল করেছে ইসরো, ভারতীয় বায়ুসেনা, ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, ভারতীয় নৌবাহিনী এবং কোস্ট গার্ড। পরীক্ষার সময়, একটি আইএএফ চিনুক হেলিকপ্টারের দ্বারা একটি কৃত্রিম ক্রু মডিউলকে বঙ্গোপসাগরের বুকে প্রায় ৩ কিলোমিটার উচ্চতায় ওড়ানো হয়েছিল। এরপর সাড়ে চার টনের ‘এয়ার ড্রপ’ মডিউলটিকে সমুদ্রে দিকে ছুঁড়ে দেওয়া হয়।

বাস্তবে যখন মহাকাশচারীরা পৃথিবীতে ফিরবেন, তখন প্রথম প্যারাশুট সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭ থেকে ১১ কিলোমিটার উচ্চতায় খুলে যাবে। তখনও ক্রু মডিউলের গতি হবে ঘণ্টায় প্রায় ৭০০ কিলোমিটার। যা একটি যাত্রীবাহী জেট বিমানের গতির সমান। ধাপে ধাপে দশটি প্যারাশুট খুলে গতি প্রায় ২৫ গুণ কমিয়ে আনবে। শেষ পর্যায়ে সমুদ্রপৃষ্ঠে নামার সময় মডিউলের গতি থাকবে ঘণ্টায় প্রায় ৩০ কিলোমিটার। মহাকাশচারীদের সেই শেষ আঘাত সহ্য করতে হবে।

ইসরো চেয়ারম্যান ড. ভি নারায়ণন জানিয়েছেন, ”গগনযানের প্রথম মানবহীন মিশন ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত হবে এবং এই প্যারাশুট পরীক্ষা তারই একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।” ডিআরডিও চেয়ারম্যান ড. সমীর ভি কামাত বলেন, “মহাকাশযাত্রা মানুষের সঙ্গে যন্ত্রের এক জটিল সমন্বয়, যেখানে মানুষের নিরাপত্তা সর্বাধিক গুরুত্ব পায়। গগনযান একটি মর্যাদাপূর্ণ জাতীয় প্রকল্প। এখানে ডিআরডিও বিশেষ ধরনের কাস্টম-মেড প্যারাশুট তৈরি করছে, যা ক্রু মডিউলকে নিরাপদে নামতে সহায়তা করবে।”

গগনযান মিশন ভারতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল অভিযান হতে চলেছে। যার খরচ ১০,০০০ কোটিরও বেশি। দেশের প্রায় সব জাতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান এই প্রকল্পে নিজেদের অবদান রাখছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *