৮ বছর পর ফিরছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। নামছে বিশ্বের সেরা ৮ দল। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে কে কোথায় দাঁড়িয়ে? আজ নজরে আফগানিস্তান।
গ্রুপ: বি গ্রুপে আফগানিস্তানের সঙ্গে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
আফগানিস্তান দল: হাসমাতউল্লা শাহিদি (অধিনায়ক), ইব্রাহিম জাদরান, রহমানউল্লাহ গুরবাজ, সিদিকউল্লা আটাল, রহমত শাহ, ইকরাম আলিখিল, গুলবাদিন নাইব, আজমাতউল্লা ওমরজাই, মহম্মদ নবি, রশিদ খান, নাঙ্গিয়াল খারোতি, নূর আহমেদ, ফজলহক ফারুকি, ফরিদ মালিক, নাভিদ জাদরান।
সম্ভাব্য প্রথম একাদশ: রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, সিদিকউল্লা আটাল, রহমত শাহ, হাসমাতউল্লা শাহিদি, আজমাতউল্লা ওমরজাই, গুলবাদিন নাইব, মহম্মদ নবি, রশিদ খান, নূর আহমেদ।
শক্তি: আফগানিস্তান মানেই চমক। সেটা গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালোমতোই টের পাওয়া গিয়েছে। তাদের সবচেয়ে বড় শক্তি বিশ্বমানের স্পিন বোলিং। রশিদ খান থেকে নূর আহমেদ, যখন তখন ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন। বিশেষ করে উপমহাদেশীয় উইকেটে তারা ভয়ংকর রূপ ধরতে পারেন। রহমানউল্লা গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান ও হাসমাতউল্লা শাহিদিরা সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ঝড় তোলেন। তাঁদের উপর নির্ভর করবে আফগানরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ‘কালো ঘোড়া’ হয়ে উঠতে পারেন কিনা?
দুর্বলতা: তারকা ক্রিকেটারদের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা। বিশেষ করে নীচের সারির ব্যাটারদের নিয়ে চিন্তা থাকবেই। অন্যদিকে স্পিন বিভাগ যতটা শক্তিশালী, ততটা ভরসাযোগ্য নয় পেস বিভাগ। সেখানে একমাত্র নির্ভরযোগ্য মুখ ফজলহক ফারুকি। আবার আল্লা গজনফারের চোটের জন্য না থাকাও বড় ধাক্কা। তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা ওয়ানডে টুর্নামেন্টে আফগানদের অনভিজ্ঞতা। ২০২৩-র বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যাওয়া যার উদাহরণ হিসেবে ধরা যেতে পারে।
এক্স ফ্যাক্টর: প্রথমেই রাখতে হবে রশিদ খানের নাম। এছাড়া ছন্দে থাকা গুরবাজও হয়ে উঠতে পারেন এক্স ফ্যাক্টর।
সম্ভাবনা: কঠিন গ্রুপে রয়েছে আফগানিস্তান। যার বাধা টপকাতে সমস্যায় পড়তে পারেন রশিদরা।