সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁও সন্ত্রাস এবং অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তানের জঙ্গিবাদের মুখোশ গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে যে প্রতিনিধিদল কেন্দ্র পাঠাতে চলেছে, তাতে নাম রয়েছে শশী থারুরের। অথচ তাঁর দল কংগ্রেস ওই প্রতিনিধিদলের জন্য তাঁর নামই দেয়নি। এটা কি অপমানজনক? শশী বলছেন, “আমাকে অপমান করা সহজ নয়। আমি নিজের যোগ্যতা জানি।”
পহেলগাঁও সন্ত্রাস এবং অপারেশন সিঁদুরের পর ভারতের অবস্থান এবং পাকিস্তান কীভাবে প্রত্যক্ষে জঙ্গিদের মদত দিচ্ছে, সেটা গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে চায় ভারত। কেন্দ্র সরকার সেই লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ভারত থেকে প্রতিনিধি দল পাঠাবে। আর সেই দলের নেতৃত্বের অন্যতম মুখ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরকে। শশীও সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “রাজনীতির প্রশ্ন তখনই আসবে, যখন এই দেশটা থাকবে। আমার মনে হয় এই মুহূর্তে দেশটাই সবার আগে।”
কিন্তু কংগ্রেস যে শশীকে এভাবে নেতা হিসাবে বেছে নেওয়া মেনে নিতে পারেনি, সেটা দলের আচরণেই বোঝা গিয়েছে। একে তো দল যে চারজনকে পাঠাতে চেয়েছিল তাতে শশীর নাম নেই। তার উপর আবার তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদ আমন্ত্রণ পাওয়ার পর তাঁকে দলের তরফে শুভেচ্ছা বা কোনও বার্তাও দেওয়া হয়নি। এ প্রসঙ্গ তুলেই শশীকে প্রশ্ন করা হয়, দলের এই আচরণে কি তিনি অপমানিত? শশী বলছেন, “এই প্রশ্নটা দলকে করা উচিত। আমাকে অপমানিত করা অতটা সহজ নয়। আমি নিজের যোগ্যতাটা জানি।” শশী মনে করিয়েছেন, “দেশের সেবা সব নাগরিকের কর্তব্য।”
শশীকে নিয়ে কংগ্রেসের নাক উঁচু মনোভাবের নিন্দা করেছে বিজেপিও। দলের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য সোশাল মিডিয়ায় বলেছেন, “শশী থারুরের তীক্ষ্ণ যুক্তিবাদী ভাষণের ক্ষমতা, রাষ্ট্রসংঘে দীর্ঘদিন কাজ করার অভিজ্ঞতা এবং আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে তাঁর জ্ঞান কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। তাহলে কেন কংগ্রেস বিশেষ করে রাহুল গান্ধী কেন তাঁর নাম এই প্রতিনিধিদলের তালিকায় পাঠাল না? এটা কি হিংসা? নিরাপত্তাহীনতা নাকি কেউ হাই কম্যান্ডকে টপকে যাবে সেই আশঙ্কা?”