সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত আইপিএলে ১৭ ম্যাচে ৬০৪ রান। ১৭৫ স্ট্রাইক রেটে, ৫০.৩৩ ব্যাটিং গড়ে! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অসামান্য পারফরম্যান্স। তারপরও এশিয়া কাপের ভারতীয় দলে জায়গা হল না শ্রেয়স আইয়ারের। জায়গা পেলেন আইপিএলে ভালো ফর্মে না থাকা তিলক বর্মা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে শ্রেয়সের দোষটা ঠিক কী? প্রশ্নটা তুলে দিয়েছেন সদ্য প্রাক্তন ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনও।
রুষ্ট ভাবে তিনি বলে দিয়েছেন, ‘‘আমি বুঝতে পারছি না, শ্রেয়স ভুলটা কী করেছে? ২০২৪ সালে অধিনায়ক হিসেবে কেকেআরকে ও আইপিএল জেতাল। তার পর নিলামে গেল। পাঞ্জাব কিংস ওকে কিনল। ২০১৪ সালের পর প্রথম বার পাঞ্জাবকে শ্রেয়স ফাইনালে তুলল। শর্ট বলের বিরুদ্ধে সমস্যা কাটিয়ে উঠেছে শ্রেয়স। বুমরা-রাবাডাদের অনায়াসে খেলেছে। খুব খারাপ লাগছে শ্রেয়সের কথা ভেবে।’’ আসলে শ্রেয়সের কথা ভেবে খারাপ লাগাটা স্বাভাবিক। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজেও তাঁর নাম ভাবা হয়নি। এশিয়া কাপের মূল দলে তো নয়ই, স্ট্যান্ডবাইদের তালিকাতেও তাঁর নামটা নেই।
সূত্রের দাবি, নির্বাচন কমিটির বৈঠকে শ্রেয়সের নামটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু তাঁকে নিতে গেলে জাতীয় দলে ভালো খেলা রিঙ্কু সিং বা শিবম দুবের যে কোনও একজনকে বাদ দিতে হত। নির্বাচকরা সেটা চাননি। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অজিত আগরকর বলেন, “আমাদের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে প্রচুর বিকল্প। স্কোয়াড নির্বাচন করাটা সব সময় সহজ হয় না।’’ তিনি মেনে নেন, “শ্রেয়স কোনও ভুল করেননি। তবে নির্বাচকরাও ভুল করেননি। কারণ যারা ১৫ সদস্যের দলে রয়েছেন প্রত্যেকেই ভালো ফর্মে।”
তবে কোনও কোনও মহল বলছে, কোচ গম্ভীরের পছন্দ নয় বলেই শ্রেয়সকে জাতীয় দল থেকে বারবার ব্রাত্য থেকে যেতে হচ্ছে। নিন্দুকেরা বলছেন, ২০২৪ আইপিএল জেতার পর শ্রেয়স যেভাবে সংবাদমাধ্যমে বলে দিয়েছিলেন অধিনায়ক হিসেবে যতটা মর্যাদা তাঁর প্রাপ্য ছিল, ততটা তিনি পাননি। তাতেই তৎকালীন কেকেআর মেন্টর গম্ভীরের রোষে পড়েন তিনি। সেই ভুলের মূল্য বোধ হয় এখনও চোকাতে হচ্ছে তাঁকে।