সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একসময়ে বলিউডে অনেকের কেরিয়ার গড়েছেন মনোজ কুমার। শুধু তাই নয়, পরিচালকের আসনে বসার পর কারও বা ধুকতে থাকা ফিল্মি কেরিয়ার চাঙ্গা করেছিলেন তিনি। সেই তালিকায় অমিতাভ বচ্চনও রয়েছেন। বিগ বি’কে যখন একের পর বলিউড প্রযোজক-পরিচালকরা ফিরিয়ে দিচ্ছিলেন, ঠিক সেই সময়ে মনোজ তাঁর নিজের পরিচালিত ‘রোটি কাপড়া অউর মকান’ সিনেমায় কাস্ট করেন অমিতাভকে। শুধু তাই নয়, অমিতাভের ‘ডন’ হিট করার নেপথ্যেও মনোজ কুমারের খানিক হলেও অবদান রয়েছে। তাঁর পরামর্শেই পরিচালক চন্দ্র বারোট ‘খাই কে পান বেনারস’ গানটি যোগ করার পাশাপাশি একাধিক খুঁটিনাটি পরিবর্তন করেন। কিন্তু বছর খানেক আগে এক সাক্ষাৎকারে মনোজ কুমার আক্ষেপ করেন, ‘কেউ মনে রাখেনি সেসব। আমি বড়াই করছি না, কিন্তু খুব দুঃখ হয়। আমার নামটা পর্যন্ত আজ কেউ নেয় না!’ শুক্রবার মনোজর প্রয়াণের পর দিনভর সেসব অতীত স্মৃতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বিস্তর। এমনকী এদিনই ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’র নতুন মরশুমের কথা ঘোষণা করায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল অমিতাভ বচ্চনকে। তবে শনিবার মনোজের শেষকৃত্যে যোগ দিলেন অমিতাভ বচ্চন।
View this submit on Instagram
জুহুর পবনহংস শ্মশানে ছেলে অভিষেক বচ্চনকে সঙ্গে নিয়ে হাজির ছিলেন বিগ বি। পৌঁছে গিয়েছিলেন সলমন খানের বাবা তথা বলিউডের একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনাট্যকার সেলিম খানও। সঙ্গে ছিলেন ছেলে আরবাজ খান। শেষকৃত্যে অমিতাভকে দেখে জড়িয়ে ধরেন আবেগপ্রবণ সেলিম। একসময়ের হিট সব সিনেমার সহ-অভিনেতাকে আলবিদা জানাতে পবনহংস শ্মশানে এসেছিলেন বার্ধক্যের ভারে নুইয়ে পড়া প্রেম চোপড়াও। জায়েদ খান, বিন্দু দারা সিং, অশোক পণ্ডিত, রাজপাল যাদব, রাজা মুরাদ, বর্ধন পুরির মতো বলিউডের অনেকেই মনোজ কুমারের শেষকৃত্যে যোগ দিয়েছিলেন।
View this submit on Instagram
দীর্ঘ রোগভোগের পর শুক্রবারই চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছেন মনোজ কুমার। যাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া দেশের বিনোদুনিয়া থেকে রাজনৈতিকমহলেও। মাত্র পয়ত্রিশটি সিনেমাতেই বলিউডে কাঁপন ধরানো ভারত কুমার যে রাজনীতি সচেতন ছিলেন, তাঁর অভিনীত, পরিচালিত সিনেমাই তার প্রমাণ। তাই তো শনিবার দেশমাতৃকার সেই সন্তানকে ‘আলবিদা’ জানানোর আগে তাঁর মরদেহ মুড়ে দেওয়া হল তেরঙ্গায়। এদিন সাড়ে ১১টায় জুহুর পবনহংস শ্মশানে শুরু হয় মনোজ কুমারের শেষকৃত্য। জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চিরবিদায় জানানো হল ‘ভারত’কে। এমনকী তাঁর শববাহী গাড়িটিও গেরুয়া-সাদা-সবুজে সাজানো হয়েছিল তেরঙ্গার প্রতীক হিসেবে। শেষযাত্রায় কান্নায় ভেঙে পড়েন স্ত্রী শশী গোস্বামী। সেই ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে।
View this submit on Instagram
View this submit on Instagram