‘ওড়ার জন্য অনুমতি লাগবে না’, খাড়গের কটাক্ষের পরেই ইঙ্গিতবাহী পোস্ট, দলবদলের পথে শশী?

‘ওড়ার জন্য অনুমতি লাগবে না’, খাড়গের কটাক্ষের পরেই ইঙ্গিতবাহী পোস্ট, দলবদলের পথে শশী?

ইন্ডিয়া খবর/INDIA
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পূর্তিতে বড়সড় ফাটল কংগ্রেসে! ভাষণ দিতে গিয়ে নাম না করে শশী থারুরকে কটাক্ষ করেছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। সেই মন্তব্যের পর ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য করেছেন তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদও। সবমিলিয়ে, বিজেপি বিরোধিতায় একজোট হওয়ার পরিবর্তে কংগ্রেস নেতৃত্ব নিজেই একে অপরের দিকে আঙুল তুলতে ব্যস্ত।

দিন দুই আগেই শশী এক সংবাদপত্রের সম্পাদকীয়তে লেখেন, তেজ, গতিশীলতা এবং ইচ্ছাশক্তি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই তিনটি গুণ দেশের মূল্যবান সম্পদ। সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, “মোদির ঐক্যের শক্তি, স্পষ্ট যোগাযোগের কার্যকারিতা এবং সুগঠিত কূটনৈতিক চিন্তাভাবনা ভারতকে ক্রমেই সমৃদ্ধ করছে। সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য হয়ে আমি এটা বুঝতে পেরেছি।” শশী যেভাবে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন, তাতে কংগ্রেস রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে যায়। দলের তরফ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, শশীর বক্তব্য একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত।

জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পূর্তির দিনে ভাষণ দিতে গিয়ে খাড়গেও নিশানা করেন শশীকে। কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “আমাদের জন্য সবার আগে দেশ। কিন্তু কারও কারও জন্য মোদিই সবার আগে। যার যা খুশি সে লিখতেই পারে।” বস্তুত, খাড়গে থারুরকে তথাকথিত মোদি ভক্তদের সঙ্গে তুলনা করে দিলেন। কংগ্রেস সভাপতির এই মন্তব্যে মোটামুটি স্পষ্ট, শশীকে বাতিলের খাতায় ফেলে দিল হাত শিবির।

তবে দলের যাবতীয় অবহেলাকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন শশী। খাড়গের মন্তব্যের খানিক পরেই এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘ওড়ার জন্য কারোওর অনুমতি চেও না। ডানাগুলো তো তোমারই। আর আকাশের মালিকানা কারোওর কাছেই নেই।’ গত কয়েক দিনে রাজনৈতিক মহলে বারবার জল্পনা ছড়িয়েছে তাহলে শশীর গন্তব্য কি বিজেপি? মোদির প্রশস্তিতে ভরানো প্রবন্ধ লেখার পরও কংগ্রেস সাংসদ বলে দিয়েছেন, ‘বিজেপিতে যাওয়ার জন্য তিনি মোটেই লাফাচ্ছেন না।’ তবে আগামী দিনে তিনি যদি হাত ছেড়ে পদ্মশিবিরে লাফিয়ে পড়েন, তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *