সুকুমার সরকার, ঢাকা: যাঁর প্রতি মজে মন, তাঁকে ছাড়া কি দিন কাটে। প্রেম কোনও বিধিনিষেধ মানে না। বয়সের গণ্ডিও মানে না। অবুঝ মন শুধু ভালোবাসার মানুষের কাছে ধরা দিতে চায়। তাই তো পঁয়ত্রিশের যুবতীর বাড়ির সামনে অনশনে বসলেন পঁচাত্তরের বৃদ্ধ। ‘প্রেমিক’ বৃদ্ধের বক্তব্য একটাই, ওই যুবতীকেই বিয়ে করতে চান তিনি।
বাংলাদেশের মুন্সি উপজেলার বেতমোর রাজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম মিঠাখালী গ্রামের বাসিন্দা আবুল কাশেম মুন্সি। শনিবার সকাল থেকে বড়মাছুয়া ইউনিয়নের ঠুটাখালি গ্রামের ওই যুবতীর বাড়ির সামনে আমরণ অনশন বসেন। আবুল কাশেম মুন্সি বলেন, “বেশ কয়েকদিন আগে আমার স্ত্রীর মৃত্যু হয়। বিয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গায় মেয়ে দেখি। সেই সময় ওই যুবতীর সঙ্গে দেখা হয়। ওর প্রেমে পড়ে যাই। বিয়ের প্রস্তাব দিই। তাতে রাজি হন। আমার কাছ থেকে প্রায় ৩৫-৪০ হাজার টাকা নেন। গত কয়েকদিন ধরে কোনও কারণ ছাড়াই ওই যুবতী আমার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। আমি তাঁর বাড়িতে আসতে চাই। আমাকে ভুল ঠিকানা দেয়। প্রায় ৪-৫ দিন খোঁজ করে শনিবার সকালে ওর বাড়িতে আসি।” তিনি আরও বলেন, “হয় আমার টাকা দেবে, নয়তো আমাকে বিয়ে করবে। আমার সঙ্গে যে প্রতারণা হয়েছে, আমি তার উপযুক্ত বিচারের দাবি জানাই।”
স্থানীয় সূত্রে খবর, একাধিক পুরুষের সঙ্গে নাকি সম্পর্ক রয়েছে ওই যুবতীর। অনেকের থেকে মন বিনিময়ের অছিলায় টাকাও হাতিয়ে নিয়েছেন বলেই অভিযোগ। প্রতিবেশীরা বলেন, “আমাদের এলাকার ওই যুবতীর স্বভাব চরিত্র মোটেই ভালো নয়। বহু পুরুষের কাছ থেকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে। আমরা তাঁর কঠিন শাস্তির দাবি জানাই।” পঁচাত্তরের বৃদ্ধকে অনশনে বসার খবর পাওয়ামাত্রই গা ঢাকা দেন ওই মহিলা। তবে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন।