সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিবাসীদের আমেরিকা থেকে বের করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে কি ট্রাম্প রোষে পড়তে চলেছেন ব্রিটেনের রাজকুমার হ্যারি এবং তাঁর স্ত্রী মেগান মর্কেল? নিউইয়র্ক পোস্টের এক সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্নের জবাব দিলেন ট্রাম্প। তিনি জানান, “আমি এটা করতে চাই না। আমি তাঁকে একা ছেড়ে দিতে চাই। এমনই স্ত্রীকে নিয়ে হাজারও সমস্যায় রয়েছে হ্যারি। কারণ, তাঁর স্ত্রী ভয়ংকর। আমি আর নতুন করে হ্যারির সমস্যা বাড়াতে চাই না।”
চার্লস-ডায়নার দুই ছেলে প্রিন্স উইলিয়ম এবং প্রিন্স হ্যারির মধ্যে সদ্ভাব বিশেষ না থাকলেও, কোনও শত্রুতা সেভাবে চোখে পড়েনি। তবে রাজপরিবার ঘনিষ্ঠদের অনেকর মতেই, প্রিন্স হ্যারির বিয়ের পর মেগান মর্কেল তাঁদের পরিবারে পা রাখতেই নাকি সমস্ত কোন্দলের শুরু। দুই ভাইয়ের পরিবারে এমনই ঝগড়ঝাটি হতে থাকে যে মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত একটা সময় বন্ধ হয়ে যায়। সেই বিবাদ থামাতে আসরে নামেন স্বয়ং রানি। কিন্তু শেষপর্যন্ত ভাঙন ঠেকানো যায়নি। প্রিন্স হ্যারি এবং মেগান মর্কেল বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।
২০২০ সালে রাজপরিবার ছেড়ে আমেরিকায় চলে যান হ্যারি ও মেগান। ক্যালিফোর্নিয়ায় থাকতে শুরু করেন। সেই সময় থেকে তাঁর ভিসার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। অভিযোগ, মাদক সেবন সংক্রান্ত তথ্য নাকি গোপন করে ভিসার আবেন করেছিলেন হ্যারি। গত বছরের শুরুর দিকে এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে কথাও বলেন ট্রাম্প। তিনি দাবি করেন, ক্ষমতায় আসলে নিশ্চয়ই ব্রিটেনের রাজকুমারের ভিসা বিতর্কে নজর দেবেন। চলতি বছরের গত ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপর থেকে নানা পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা। এই পরিস্থিতিতে অভিবাসীদের মধ্যে ক্রমশ বাড়ছে আতঙ্ক। তবে দুশ্চিন্তা নেই হ্যারি-মেগানের। কারণ, ট্রাম্প নিজেই বলছেন আপাতত তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করবেন না তিনি।