সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তান নয়, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে ভারত! হাস্যকর দাবি করল ইসলামাবাদ। শনিবার রাত সোয়া আটটা নাগাদ সীমান্তের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে হামলা শুরু করে পাক সেনা। সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে কড়া বিবৃতি দেন বিদেশসচিব বিক্রম মিসরি। তারপরেই পাক বিদেশমন্ত্রকের তরফে বার্তা দেওয়া হয়, আসলে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে ভারতই। কিন্তু বিদেশমন্ত্রক এই বিবৃতি দিলেও সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
শনিবার দুপুরে পাকিস্তানের তরফে আর্জি জানানো হয় যুদ্ধবিরতির জন্য। সেই আবেদনে রাজি হয় ভারত। শনিবার বিকেল পাঁচটা থেকে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। কিন্তু সওয়া আটটা থেকে ফের গুলিবর্ষণ শুরু করে পাক সেনা। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, উধমপুরে পাক ড্রোন হামলা আটকছে ভারত। এছাড়াও শ্রীনগর, জম্মুর একাধিক জায়গায় গুলি এবং বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা গিয়েছে। রাজস্থানের বারমের, জয়সলমের এবং পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে ব্ল্যাক আউট করা হয়েছে। অন্ধকার করে দেওয়া হয়েছে কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ এলাকাও। পাক ড্রোন উড়তে দেখা গিয়েছে গুজরাটের কচ্ছে।
বিনা প্ররোচনায় এমন হামলার পর পাকিস্তানের প্রতি ক্ষুব্ধ ভারত। পাক হামলার পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসে বিদেশ সচিব বলেন, ”ডিজিএমও স্তরে হওয়া সংঘর্ষবিরতি চুক্তি ভেঙে কয়েকঘণ্টার মধ্যেই ভারতে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এটা বিশ্বাসভঙ্গ ও চুক্তিভঙ্গ। সেনা পরিস্থিতির দিকে সর্বদা নজর রাখছে। এর জবাব দিতে হবে।” মিসরি আরও বলেন, সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনের বিষয়টিতে দায়িত্ব সহকারে আচরণ করতে হবে পাকিস্তানকে।
মিসরির এই সাংবাদিক বৈঠকের পরেই বিবৃতি জারি করে পাক বিদেশমন্ত্রক। সেখানে বলা হয়, সংঘর্ষবিরতি পালন করতে পাকিস্তান বদ্ধপরিকর। কিন্তু বেশ কিছু জায়গায় সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করেছে ভারত। পাক সেনা তার জবাব দিচ্ছে। কিন্তু বিদেশমন্ত্রক এই বিবৃতি দিলেও সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। বরং সংঘর্ষবিরতি কার্যকর করার জন্য আমেরিকা-সহ অন্যান্য দেশগুলিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। ‘সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু’ হিসাবে আলাদা করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন চিনকে। কিন্তু নিজের বিদেশমন্ত্রকের এমন ‘মিথ্যাচারে’ একেবারে নীরব শাহবাজ। বরং জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভারতের সেনাবাহিনীকে চুপ করিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। ইতিহাস সেটা মনে রাখবে।” পাক প্রধানমন্ত্রীর মতে, ঐতিহাসিক সাফল্য পেয়েছে পাকিস্তান।