এ কেমন শিক্ষক! ছাত্রদের ডোপ নিতে উৎসাহ দিয়ে সাসপেন্ড ‘দ্রোণাচার্য’ পুরস্কার প্রাপ্ত কোচ 

এ কেমন শিক্ষক! ছাত্রদের ডোপ নিতে উৎসাহ দিয়ে সাসপেন্ড ‘দ্রোণাচার্য’ পুরস্কার প্রাপ্ত কোচ 

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একজন জুনিয়র ন্যাশনাল অ্যাথলেটিক্স কোচ। তিনি আবার একাধারে দ্রোণাচার্য পুরস্কারও পেয়েছেন। আরেকজন জুডো প্রশিক্ষক। তাঁদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ। যার জেরে তাঁদের বরখাস্ত করেছে ন্যাশনাল অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সি। অভিযোগ, ছাত্রদের ডোপ নিতে উৎসাহ দিয়েছেন দুই কোচ রমেশ নাগপুরি এবং করমবীর সিং। তাছাড়াও অন্যান্য বেআইনি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগও তাঁদের নামে। 

জানা গিয়েছে, তাঁদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। নাডা’র ২.৯ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে দুই কোচের নামে। বর্তমানে অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ায় কর্মরত রমেশ। তিনি জুনিয়র ন্যাশনাল দলের কোচও। ২০২৩ সালে দ্রোণাচার্য পুরস্কারও পেয়েছেন। নাডা’র নিয়মে বলা হয়েছে, ‘ক্রীড়াবিদদের ডোপ নিতে উৎসাহিত করা অ্যান্টি-ডোপিং বিধি লঙ্ঘনের শামিল। যা ক্ষমাহীন। সেই কারণে শাস্তি পেতে হবে দুই কোচকে।’

অতীতে পেশাদার ভারতীয় স্প্রিন্টার দ্যুতি চাঁদের প্রশিক্ষক ছিলেন রমেশ নাগপুরি। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, নাডা’র দলের হাত থেকে সন্দেহভাজন অ্যাথলিটদের এড়িয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সহায়তা করেছিলেন তিনি। ঘটনাটি স্পোর্টস অথরিটি ইন্ডিয়ার হায়দরাবাদ সেন্টারের। সেখানেই নাডা’র অফিসাররা অ্যাথলিটদের রক্তের নমুনা নিতে হাজির হয়েছিলেন।

জানা গিয়েছে নাডা’র অফিসাররা আসার পর দুই অ্যাথলিট ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এই দুই অ্যাথলিটও নিষেধাজ্ঞার তালিকায়। তাদের বিরুদ্ধে ২.৩ বিধিভঙ্গের অভিযোগ। গত সপ্তাহের শুরুতে এশিয়ান যুব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য সৌদি আরব গিয়েছে অনূর্ধ্ব-১৮ ভারতীয় দল। যদিও ভারতীয় দলের সঙ্গে যাননি রমেশ।

কতদিনের জন্য তাঁদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। তবে, নাডা’র নিয়মে বলা হয়েছে, “২.৯ লঙ্ঘনের জন্য কমপক্ষে দু’বছর থেকে আজীবন নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *