সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অক্সফোর্ডে মমতার ভাষণের সময় ব্রিটেনের ৬ এসএফআই পড়ুয়া চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করে। ঘাড়ধাক্কা দিয়ে যদিও তাদের অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের করে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের ‘বাঁদরামি’র প্রতিবাদে X হ্যান্ডেলে তোপ দাগলেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বিক্ষোভকারীরা ‘দেশ, বাংলার সম্মান ভাবে না’, বলেই কটাক্ষ তাঁর।
তিনি লেখেন, “সিপিএমের যে দুচারপিস অক্সফোর্ডে বাঁদরামি করল, এরা দেশ, বাংলার সম্মান ভাবে না। তাদের আমলে কী হয়েছিল, ভুলে গিয়েছে। সব ঘটনা মনে করাতে হবে সারা বাংলায়। আজ সকলের বাধায় লেজ তুলে পালিয়েছে। বক্তৃতায় বাধা কেন? প্রশ্ন করো প্রশ্নোত্তর পর্বে। তা নয়, বাঁদরামিটা এদের সংস্কৃতি। এদের পরিকল্পিত অসভ্যতার খবর আগেই পেয়ে কদিন আগে পোস্ট করেছিলাম। এদের চিহ্নিত করে অনেকে কলকাতা কানেকশন পোস্ট করছেন। ভালো করছেন। রবীন্দ্রসঙ্গীত এরা বোঝে না। ডিজে শুনতে চাইছে।”
সিপিএমের যে দুচারপিস অক্সফোর্ডে বাঁদরামি করল, এরা দেশ, বাংলার সম্মান ভাবে না।
তাদের আমলে কী হয়েছিল, ভুলে গিয়েছে।
সব ঘটনা মনে করাতে হবে সারা বাংলায়।
আজ সকলের বাধায় লেজ তুলে পালিয়েছে। বক্তৃতায় বাধা কেন? প্রশ্ন করো প্রশ্নোত্তর পর্বে। তা নয়, বাঁদরামিটা এদের সংস্কৃতি।
এদের…— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) March 27, 2025
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেলগ কলেজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐতিহাসিক বক্তৃতা নিয়ে উৎসাহের অন্ত ছিল না। তবে প্রতি মুহূর্তেই অশান্তির আশঙ্কা ছিল। সেই আশঙ্কাই সত্যি হল বৃহস্পতিবার। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতার সময় ব্রিটেনের ৬ এসএফআই সদস্য বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করে। চিৎকার, চেঁচামেচি শুরু করে। যদিও ঠান্ডা মাথায় হাসিমুখে পরিস্থিতি সামাল দেন মমতা। বিক্ষোভকারীদের একের পর এক খোঁচা দেওয়া প্রশ্নে হাঁকিয়ে ব্যাট করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিক্ষোভকারীদের ‘ভাই’ সম্বোধন করে একের পর এক ছক্কা হাঁকান বাংলার ‘দিদি’। নিজেকে ‘রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার’ বলে উল্লেখ করে বাংলায় এসে সিপিএমকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে লড়াই করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন মমতা। উপস্থিত সকলের হাততালিতে ভরে ওঠে অনুষ্ঠানস্থল। পরে যদিও ঘাড়ধাক্কা দিয়ে ওই ৬ বিক্ষোভকারীকে বের করে দেওয়া হয়। এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে এসএফআই, ইউকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন