রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সবচেয়ে বড় অবদান হিসেবে যে দুই রাজ্যের নাম সর্বালোচিত তার মধ্যে একটি বাংলা, অপরটি পাঞ্জাব। এবছর, ৭৯ তম স্বাধীনতা দিবসে বাংলা ছেড়ে পাঞ্জাবকে বাড়তি গুরুত্ব দিল বামপন্থীরা। এসএফআইয়ের তরফে এবার শহিদ ভগৎ সিংয়ের পাঞ্জাবের বাড়ি গিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও স্মরণসভা জানানো হল। উপস্থিত ছিল পাঞ্জাবের ডিওয়াইএফআই কর্মীরাও। এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য জানান, এসএফআই নিজেদের ভগৎ সিংয়ের মতাদর্শের উত্তরাধিকারী বলে গণ্য করে। তাই এবছর তাঁকে এভাবে শ্রদ্ধা জানানো হল। এছাড়া সারা বছর ধরেই এসএফআই ‘Freedom Rally’ আয়োজন করছে, সেই কাজে এবার আরও গতি আসবে।
পাঞ্জাবের নওয়াশহরের কালান এলাকা। এখানেই শহিদ ভগৎ সিংয়ের বাড়ি। শুক্রবার সেখানে গিয়েই শ্রদ্ধা জানাল এসএফআই সর্বভারতীয় নেতৃত্ব। সঙ্গে ছিলেন সে রাজ্যের সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক, ডিওয়াইএফআই কর্মীরা। এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যর কথায়, ”ভগৎ সিং কেবল স্বাধীনতা সংগ্রামীই ছিলেন না, তিনি একজন সমাজতন্ত্রী বিপ্লবী ছিলেন। ভারতের মানুষকে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত করাই শুধু নয়, তাঁর স্বপ্ন ছিল ভারতের মাটিতে শ্রমিক-কৃষকের সরকার কায়েম করা। মাত্র ২৩ বছর বয়সে শহিদ হওয়া ভগৎ সিং আগামী বহু প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে রয়েছেন।”
তাঁর আরও বক্তব্য, ”এসএফআই নিজেদের ভগৎ সিংয়ের মতাদর্শের উত্তরাধিকারী বলে গণ্য করে। যে আরএসএস-বিজেপি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল, আজকের ভারতে এসএফআই তাদেরই পরাস্ত করতে চায়। এসএফআই আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরে। আমরা সারাবছরই স্বাধীনতা সংগ্রামের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা উদযাপন এবং ব্যক্তিত্বকে স্মরণ করে থাকি। আজ দেশজুড়ে অগণিত ‘Freedom Rally’ আয়োজন করেছে এসএফআই। এই কাজ আরও গতি পাবে আগামীদিনে।” ভগৎ সিংয়ের বাড়ি গিয়ে তাঁকে এসএফআইয়ের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন যথেষ্ট প্রশংসার দাবি রাখলেও কটাক্ষ করেছেন অনেকে। বাম ছাত্র সংগঠনের শ্রদ্ধার্ঘ্যের তালিকায় বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামীরা কেন নেই? এই প্রশ্নও উঠেছে।