সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি, ছত্তিশগড়ের পর এবার বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্র! দেবেন্দ্র ফড়ণবিসের রাজ্যে কোটি কোটি টাকার আবগারি দুর্নীতির অভিযোগ। ‘কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিট জেনারেল’ বা ‘সিএজি’র রিপোর্টে প্রকাশ্যে এসেছে মদের লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ-সহ একাধিক ক্ষেত্রে কারচুপির জেরে সরকারের ক্ষতি হয়েছে ১০০ কোটি টাকারও বেশি। এই তথ্য সামনে আসতেই সরব হয়েছে বিরোধী শিবির। অভিযোগ উঠছে, এর নেপথ্যে থাকতে পারে বিরাট দুর্নীতি।
সিএজির রিপোর্ট অনুযায়ী, মদের লাইসেন্স পুনর্নবীকরণে ফি-এর ভুল মুল্যায়নের জেরে ২০.১৫ কোটি টাকা রাজস্ব ও সুদ বাবদ আরও ৭০.২২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অডিটে আরও জানানো হয়েছে, সুপারভিশন বা তত্ত্বাবিধান ফি লাগু করায় ব্যর্থতার কারণে ১.২০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ক্ষতি হয়েছে। শুধু তাই নয়, তৎকালীন আবগারি কমিশনার রাজ্যসরকারের অনুমোদন ছাড়াই বিহারের পুরনো মজুদের উপর আবগারি শুল্ক মুকুব করেন। রাসায়নিক বিশ্লেষণের জন্য মাইন্ড বিয়ার-এর নমুনা দেরিতে জমা দেওয়ার কারণে ৭৩.১৮ কোটি টাকার কর আদায় ব্যর্থ হয়।
অডিটে আরও জানানো হয়েছে, বহুপণ্য ও ব্র্যান্ডের উৎপাদন খরচ অবমূল্যায়নের জেরে আবগারি শুল্কে ৩৮.৩৪ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি ও আমদানি করা বিদেশি মদের ক্রয় খরচে ত্রুটির কারণে ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে ২০২২ সালের মার্চের মধ্যে ১১.৪৮ কোটি ও ২০১৭ সালের মে থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ২.৮৯ কোটি। প্রশাসনিক গাফিলতির জেরে এই বিপুল আর্থিক ক্ষতির তদন্ত হওয়া উচিৎ বলে মনে করছে ক্যাগ।
উল্লেখ্য, আবগারি দুর্নীতি কাণ্ডে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে চর্চিত রাজ্য দিল্লি। নয়া আবগারি নীতিতে বিরাট দুর্নীতির অভিযোগে তৎকালীন আপ সরকারের প্রায় অর্ধেক মন্ত্রিসভার ঠাঁই হয় জেলে গ্রেপ্তার হন খোদ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বিধানসভা নির্বাচনে দিল্লিতে আপের হারের নেপথ্যেও এই ঘটনাকেই দায়ী করে ওয়াকিবহাল মহল। সম্প্রতি আবগারি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ছত্তিশগড়েও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস প্রধান ভূপেশ বাঘেলের পুত্র চৈতন্যকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। এবার এনডিএ শাসিত রাজ্যেও একই ঘটনা সামনে এল।