এবার নজরে জ্যোতির ইউটিউবার বান্ধবী, দু’জনে মিলে ঘুরতে গিয়েছিলেন পহেলগাঁও!

এবার নজরে জ্যোতির ইউটিউবার বান্ধবী, দু’জনে মিলে ঘুরতে গিয়েছিলেন পহেলগাঁও!

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুন্দরী ‘দেশদ্রোহী’ জ্যোতি মালহোত্রাকে নিয়ে গত কয়েকদিন দেশজুড়ে আলোচনা। কিন্তু এবার পুলিশের নজরে আরও এক কনটেন্ট ক্রিয়েটর! ওড়িশার ট্র্যাভেল ভ্লগার প্রিয়াঙ্কা সেনাপতি। পুরীর বাসিন্দা ২১ বছরের এই তরুণী এখনও কলেজের পড়া শেষ করেনি। এই মুহূর্তে পুলিশের কড়া নজর তাঁর দিকে। আসলে জ্যোতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা জানতে পারার পরই দূরবিন এবার তাঁর দিকে তাক করা হয়েছে। উদ্দেশ্য, যদি নতুন কোনও মোড় আবিষ্কার করা যায়।

এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের দাবি, জ্যোতির সঙ্গে অনেক জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। এমনকী তাঁরা দু’জনে মিলে পহেলগাঁওয়েও গিয়েছিলেন। অভিশপ্ত ২২ এপ্রিলের কয়েক সপ্তাহ আগেই! এই পরিস্থিতিতে প্রিয়াঙ্কাকে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ওড়িশা পুলিশ থেকে ফরেনসিক দল- তদন্তকারীরা বুঝতে চাইছেন জ্যোতির সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার ঘনিষ্ঠতার আসল গভীরত ছিল কতটা?

জানা গিয়েছে, ‘প্রি ভ্লগস’ নামের এক ইউটিউব চ্যানেল চালান প্রিয়াঙ্কা। সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ১৪ হাজারের সামান্য বেশি। গত সেপ্টেম্বরে জ্যোতি পুরী এলে তাঁদের সামনসামনি দেখা হয়। যদিও আগেই সোশাল মিডিয়ার সূত্রে দু’জনের পরিচয় হয়েছিল। দ্রুতই বাড়ে ঘনিষ্ঠতা। কিন্তু জ্যোতি গ্রেপ্তার হতেই প্রিয়াঙ্কা বলতে শুরু করেছেন তিনি ‘বন্ধু’র এই দিকটা সম্পর্কে একেবারেই ওয়াকিবহাল ছিলেন না। ‘শত্রু’ দেশের সঙ্গে জ্যোতির সম্পর্ক রয়েছে জানলে এই বন্ধুত্ব তিনি এগিয়ে নিয়ে যেতেন না বলেও দাবি প্রিয়াঙ্কার।

কিন্তু তিনি এমন দাবি করলেও এই মুহূর্তে কোনও ‘ক্লু’ই অবহেলা করতে চান না তদন্তকারীরা। তাই খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে গত কয়েক মাসে প্রিয়াঙ্কার গতিবিধি। এবং তা করতে গিয়েই নজরে এসেছে গত ২৫ মার্চের একটি ভিডিও। সেই ভিডিওর শিরোনাম ছিল ‘পাকিস্তানে ওড়িয়া তরুণী’। সেই ভিডিওয় কর্তারপুর করিডর দিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করতে দেখা যায় প্রিয়াঙ্কাকে। যদিও তাঁর বাবার দাবি, এই ট্যুর ছিল একেবারেই কনটেন্ট তৈরির জন্য এবং সমস্ত বৈধ নথি-সহই, তবুও তদন্তকারীরা দেখতে চাইছেন পুরো বিষয়টা আসলে কী ছিল। এখনও কোনও প্রমাণ মেলেনি। স্বাভাবিক ভাবেই প্রিয়াঙ্কাকে গ্রেপ্তারও করা হয়নি। তিনি তদন্তে সবরকমের সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন। তবু তাঁকে আপাতত স্ক্যানারেই রাখছেন গোয়েন্দারা।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন সুন্দরী ‘দেশদ্রোহী’ জ্যোতি মালহোত্রা। ২০২৩ সালে, ভারতে পাক দূতাবাস কর্মী এহসান উর রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গে জো-র (এই নামেই নিজেরকে পরিচয় দেন জ্যোতি) আলাপ। ক্রমে ঘনিষ্ঠতা। এই দানিশকে ইতিমধ্যেই পাক দূতাবাসে থেকে বের করে দিয়েছে নয়াদিল্লি। তাকে ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ অর্থাৎ অবাঞ্ছিত ব্যক্তি বলে বিতাড়িত করেছে ভারত সরকার। দানিশ সম্পর্কে তদন্ত করতে গিয়েই প্রথমে জ্যোতির নাম পান তদন্তকারীরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *