বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: তিন মাসের মধ্যে সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত দুর্নীতির তদন্ত শেষ করে হাই কমান্ডের কাছে জমা দিতে হবে। সেই সঙ্গে যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। নইলে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার ছেড়ে দেওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকুন। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে ডেকে সতর্ক করল কংগ্রেস হাইকমান্ড।
দুর্নীতির কারণে বিজেপি থেকে মানুষ মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছিল তাও কর্নাটকের মখ্যমন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর। যদিও সিদ্দারামাইয়ার পিছনে উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার কলকাঠি নাড়ছেন বলে মনে করছে দলের একাংশ।
দু’বছর আগে বিপুল জনাদেশ নিয়ে কর্নাটকে ক্ষমতায় ফেরে কংগ্রেস। তখন থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার নিয়ে আড়াআড়ি ভাগ হয় দুই শিবির। একদিকে প্রবীণ নেতা ও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। অন্যদিকে উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার। কিন্তু সকলেই একবাক্যে মেনে নেন, ক্ষমতায় ফিরে আসার পিছনে শিবকুমারের ভূমিকা ছিল অন্যতম। তারপরেও মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসানো হয় সিদ্দারামাইয়াকে। কিন্তু হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি শিবকুমার। মুখ বন্ধ রাখলেও তলায় তলায় সিদ্দারামাইয়ার পিছনে কলকাঠি নাড়ছিলেন তিনিই। সকলেই জানেন, কর্নাটকে আসলে কংগ্রেসের সমস্যা কংগ্রেসই। দুই প্রধান বিরোধী দল বিজেপি এবং জনতা দল সেকুলার কার্যত হাত গুটিয়ে আছে।
অন্যদিকে, কংগ্রেসের একাধিক বিধায়ক সরকারের কাজকর্ম নিয়ে প্রকাশ্যে সরব হয়েছেন। আশ্চর্যের হল, বিগত বিজেপি সরকারের সময়ে যেভাবে সরকারি দপ্তরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল সেই একই পরিস্থিতি ফিরে এসেছে কংগ্রেস জমানায়।