এবছর কবে ফলহারিণী কালীপুজো? সংসারে সুখ-সমৃদ্ধি আনতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি

এবছর কবে ফলহারিণী কালীপুজো? সংসারে সুখ-সমৃদ্ধি আনতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি

রাজ্য/STATE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দশম মহাবিদ্যার প্রথম শক্তি তিনি। চার হাত। একহাতে খড়গ। গলায় নরমুণ্ড। রক্তচক্ষু। মা কালীর পরিচিত রূপ এটাই। তবে মায়ের বিভিন্ন রূপ রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন রূপে মা পূজিত হন। কখনও তিনি কৌশিকী, তিনিই আবার দীপান্বিতা, তিনিই মা চণ্ডী। প্রতিটি অমাবস্যায় মা পূজিত হন। জ্যৈষ্ঠর অমাবস্যায় মা পূজিত হন ফলহারিণী নামে। হিন্দুমতে, বিশ্বাস করা হয় ফলহারিণী কালিপুজো করলে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটে। শুভফল পাওয়া যায়।

কবে এই বছরের ফলহারিণী অমাবস্যা?
২৬মে, সোমবার। বাংলার ক্যালেন্ডার অনুসারে তা ১১ জ্যৈষ্ঠ অমাবস্যা শুরু হচ্ছে।

কখন শুরু অমাবস্যা?
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা অনুসারে এবছর ফলহারিণী অমাবস্যা শুরু হচ্ছে সকাল ১১টা বেজে ৭মিনিট ১৯ সেকেন্ডে। যা ছাড়বে মঙ্গলবার ২৭ তারিখ মঙ্গলবার, সকাল ৮টা ৪৪মিনিট ৫৯ সেকেন্ডে। অন্যদিকে, বিশুদ্ধ পঞ্জিকা অনুসারে, অমাবস্যা শুরু হবে ২৬ মে সোমবার দুপুর ১২টা ১৩ মিনিটে। যা ছেড়ে যাবে পরের দিন ২৭ তারিখ সকাল ৮টা ৩২ মিনিটে।

এই পুজোর নিয়মাবলি:

ফলহারিণী অমাবস্যায় দেবীকে বিভিন্ন মরশুমি ফল দিয়ে পুজো দিতে হয়। আম, জাম, কলা, লিচু-সহ বিভিন্ন ফলের মালা তৈরি করে দেবীকে পরানোর রেওয়াজ রয়েছে। ভক্তদের বিশ্বাস, কেউ যদি ফলহারিণী পুজোর দিন এমনটা করেন, তাহলে তাঁর জীবন সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে। তবে এইসব নিয়ম সাধারণ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তারাপীঠ-সহ একাধিক মাতৃপীঠে এইদিন মায়ের মূর্তি ফুলের বদলে ফল দিয়ে সাজানো হয়।

পুজোয় আর কী করতে পারেন?

জ্যোতিষমতে ফলহারিণী পুজোর দিন বিশেষ একটি নিয়ম মানলে ব্যক্তিগত সিদ্ধিপূরণ হতে পারে। স্রেফ একটি মরশুমি ফল দিয়ে প্রথমে দেবীর পুজো দিতে হবে। তারপর দেবীকে পুস্পাঞ্জলি দিয়ে নিজের মনের কথা জানাতে হবে। পুজো শেষে নির্দিষ্ট ফলটি বাড়িতে এনে রেখে দিন। কোনও ভাবেই ওই ফল খাওয়া যাবে না। এমনকী আগামী এক বছর ওই বিশেষ ফল খেতে পারবেন না ব্রতী। যদি এক বছরের মধ্যেই নিজের মনস্কামনা পূরণ হয় তাহলে প্রসাদী ফলটিকে গঙ্গায় ভাসিয়ে দিতে হবে। তারপর মায়ের পুজো দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে ওই ফল খাওয়া যেতে পারে।

মা চতুর্ভুজা দিগম্বরী দেবী। ঘোর কৃষ্ণবর্ণ, এলোকেশী, ভীষণরূপা। অথচ তাঁর কাছেই জগতের সমস্ত শান্তি বিরাজ করে। তিনিই মাতৃস্বরূপা দেবী কালী। ভক্তের প্রতি তাঁর আশীর্বাদ সর্বদা বর্ষিত হয়। অন্যান্য অমাবস্যাগুলির মতো এই তিথিরও বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। কথিত আছে এইদিন স্বয়ং দেবী ভক্তের মনস্কামনা পূরণ করার জন্য ধরাধামে অবতীর্ণ হন। যদিও ভক্তের চোখে তিনি সদা বিরাজমানা। তাঁর প্রকাশ সর্বত্রই। তবু ফলহারিণী অমাবস্যায় বিশেষ নিয়ম মানলে সুখ শান্তি নামে জীবনে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *