সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ‘সুর বদল’ চিরাগের দলের! এনডিএ-এর সঙ্গে জোট নিয়ে বিরোধী শিবিরকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে খানিকটা ‘বেসুরো’ই শোনালো লোক জনশক্তি পার্টির বিবৃতি। জানালেন, ‘এনডিএ জোটে থাকলেও আমাদের বিচারধারা ভিন্ন। আর সেই স্বতন্ত্র পরিচয়েই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন লড়ব।’ সম্প্রতি আরজেডির শীর্ষ নেতা তেজস্বীর সঙ্গে চিরাগের সাক্ষাৎ ঘিরে জল্পনার মাঝেই প্রকাশ্যে এল লোক জনশক্তি পার্টির বিবৃতি।
বিহারের জামুইয়ের সাংসদ তথা চিরাগের জামাইবাবু অরুণ ভারতী বলেন, “কিছু শক্তি বারবার আমাদের হেয় করার চেষ্টা করছে। দেখাতে চাইছে আমরা একটি দলের ছত্রছায়ায় বসে নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছি। তবে বাস্তবটা কোনওভাবেই এটা নয়। আমাদের দলের নিজস্ব আদর্শ রয়েছে, পরিচয় রয়েছে। আর সেই পরিচয় নিয়েই আসন্ন নির্বাচনে লড়াই চালিয়ে যাব আমরা। আমারা একটা বিরাট সম্প্রদায়ের আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। সেই প্রতীককে কোনও সীমার মধ্যে আটকে রাখা যাবে না।”
আসলে লোক জনশক্তি পার্টির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল বড় গাছের ছায়ার নিচে থেকে অস্তিত্বের সংগ্রাম করে চলেছে দলটি। এবং এই ছত্রছায়ার বাইরে দলটির কোনও অস্তিত্ব নেই। এ প্রসঙ্গে দলের তরফে জানানো হয়েছে, “কোনও দলের ছত্রছায়ায় নয়, আমরা স্বতন্ত্র। কিছু রাজনৈতিক শক্তি বারবার দলের নেতা চিরাগকে শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে আটকে রাখার চেষ্টা করছে, যা ঠিক নয়। বিহারের জনগণের মধ্যে, বিশেষ করে দলিত, বহুজন, যুব ও মহিলাদের মধ্যে চিরাগ পাসোয়ানজির জনপ্রিয়তা ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতার কথা মাথায় রেখে, আমাদের দলের প্রতিটি কর্মী এবং নেতা তাঁকে বড় নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দল সেই লক্ষ্য পূরণে কোনও খামতি রাখবে না।”
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শেষে বিহারে হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ান। যার জেরে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। জল্পনা ছড়ায় হয়ত নির্বাচনের আগে বিহারে জোট বাঁধতে পারে আরজেডি ও লোক জনশক্তি পার্টি। অবশ্য চিরাগ এই জল্পনা খারিজ করে জানান, “জোটে যেতে হলে ২০২০ সালেই যেতে পারতাম। সেক্ষেত্রে হয়ত আরও ভালো ফল করে বিহারে শক্তিশালী জায়গায় থাকতে পারতাম। তবে তা না করে একা লড়ার সিদ্ধান্ত নেই আমরা।” তেজস্বীর সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে বলেন, “তেজস্বী আমার ছোট ভাই, আমি ওর পরিবারকে আমার পরিবার বলে মনে করি। লালু প্রসাদ যাদব আমার কাছে বাবার মতো এবং রাবড়ি দেবী মায়ের মতো।”