সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে সক্রিয় বহু অস্তিত্বহীন ব্যক্তির আধার কার্ড! সেটার জন্য যতটা না দায়ী ভুয়ো আধার বা বেআইনি পরিচয়পত্র, তার চেয়ে অনেক বেশি দায়ী মৃত ব্যক্তিদের আধার নিষ্ক্রিয় না হওয়া। কাঠগড়ায় সেই কেন্দ্র সরকার। হিসাব বলছে, দেশের মৃত্যুহারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিষ্ক্রিয় হচ্ছে না আধার।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের করা আরটিআইয়ের জবাবে UIDAI জানিয়েছে, ২০১১ সালের পর থেকে গত ১১ বছরে মাত্র ১.১৫ কোটি আধার নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। দেশের মৃত্যুর হারের তুলনায় এই সংখ্যাটা অনেকটাই কম। চলতি বছরের জুন মাসের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে ১৪২.৩৯ কোটি মানুষের আধার কার্ড রয়েছে। অথচ আধারের সংখ্যাটা অনেকটাই কম হওয়ার কথা। কারণ গত ১১ বছরে ১.১৫ কোটির অনেক বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন।
রাষ্ট্রসংঘের পপুলেশন ফান্ডের সূত্র বলছে, ২০০৭ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে দেশে প্রতি বছর গড় মৃত্যুর সংখ্যা ৮৩.৫ লক্ষ। সে হিসাবে আধার বাতিলের সংখ্যাটা মৃত ব্যক্তির সংখ্যার তুলনায় অনেকটাই কম। UIDAI জানিয়েছে, এখন যে সব আধার সক্রিয় রয়েছে তাঁদের মধ্যে কাদের মৃত্যু হয়েছে এবং মৃত্যুর পরও কাদের আধার কার্ড এখনও চালু রয়েছে, সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কোনও তথ্য নেই। যা যথেষ্ট উদ্বেগের। কারণ মৃত ব্যক্তির আধার সক্রিয় থাকলে সেটার অপব্যবহারের সম্ভাবনা থাকে।
এই মুহূর্তে আধারকে নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র হিসাবে গণ্য না করা গেলেও প্রায় সমস্ত সরকারি পরিষেবাই আধারের মাধ্যমে পাওয়া যায়। আবার আধার ব্যবহার করে অন্যান্য সরকারি নথির কাজটাও কঠিন নয়। ফলে এই মৃত ব্যক্তিদের আধারের অপব্যবহার হচ্ছে কিনা সেটা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।