গোবিন্দ রায়: রাজ্যে সাড়ে তিন বছর ধরে বন্ধ থাকা ১০০ দিনের কাজ (মহাত্মা গান্ধীর রুরাল এমপ্লয়মেন্ট প্রকল্প) চালু করতে গত জুন মাসে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। এর জন্য সময়ও বেঁধে দিয়েছিল আদালত। হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি চৈতালী চট্টোপাধ্যায় দাসের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, যেকোনও শর্তে আগামী ১ অগস্ট থেকে এই প্রকল্প চালু করতে হবে। কিন্তু অভিযোগ, নির্ধারিত সময় পেরোলেও এপর্যন্ত প্রাপ্য বকেয়া পাননি বঞ্চিত দিন মজুররা। এনিয়ে ১০০ দিনের প্রকল্পের বকেয়া টাকা চেয়ে ফের কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন জানাল রাজ্য।
হাই কোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, এনিয়ে হাই কোর্টের বিচারাধীন পুরনো মামলায় নতুন করে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের কাছ থেকে প্রাপ্য টাকা চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছে রাজ্য। আদালতে রাজ্যের আবেদন, গত ২০২২ সালের মার্চ থেকে বকেয়া রয়েছে একশো দিনের কাজের টাকা। রাজ্যের প্রাপ্য টাকা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দিক আদালত। বকেয়া বাবদ কেন্দ্রের কাছে ৪৫৬৩ কোটি টাকা চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফে।
প্রসঙ্গত, ১০০ দিনের প্রকল্পের পরিষেবা যাতে গোটা রাজ্যের মানুষের কাছে পৌঁছয়, সেই দিকে বিশেষ ভাবে লক্ষ্য রাখতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। আদালতের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতির জানান, কোন কেন্দ্রীয় প্রকল্পকে অনন্তকালের জন্য ঠান্ডা ঘরে পাঠিয়ে দেওয়া যায় না। প্রধান বিচারপতি এও জানান, সত্যিই দুর্নীতি হয়ে থাকে তাহলে তা রোধে যে কোন ধরনের শর্ত আরোপ করতে পারবে কেন্দ্র। চাইলে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্য বিশেষ শর্ত আরোপ করতে পারবে কেন্দ্র। এর জন্য কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক যেকোনও ধরনের নিয়ম তৈরি করতে পারবে বলেও জানিয়েছে আদালত। প্রধান বিচারপতির মতে, কেন্দ্র চাইলে কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমের সরাসরি নির্দিষ্ট ব্যক্তির অ্যাকাউন্টেও টাকা পাঠাতে পারবে। ডিভিশন বেঞ্চ এ-ও স্পষ্ট করেছে, দুর্নীতি রোধে প্রয়োজনীয় নজরদারির পাশাপাশি রাজ্যের সব জেলাতেই তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে কেন্দ্র।