সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগের ম্যাচেই ৩৫ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে প্রচারের আলোয় চলে এসেছিল ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী। তবে, বৃহস্পতিবার মাত্র দু’টো বল খেলে কোনও রান না করেই ডাগআউটে ফিরতে হয়েছে বৈভবকে। ক্রিকেট যে আসলে জীবনেরই আরেক প্রতিচ্ছবি, ওঠানামার নিরন্তর রোলার কোস্টার তা হয়তো অনুভব করেছে বৈভব। দীপক চাহারের বলে লং অনের দিকে চালাতে গিয়ে উইল জ্যাকসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। আর ম্যাচের শেষে বৈভবকে নিয়ে ‘সাবধানী’ হতে দেখা গেল সুনীল গাভাসকরকে।
সম্প্রচারকারী চ্যানেলকে তিনি বলেন, “ওকে আরও উন্নতি করতে হবে। রাহুল দ্রাবিড়ের পাশে বসে ওকে শিখতে হবে। কীভাবে নিজের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সেটা ওকে রপ্ত করতে হবে। তাহলেই আগামী দিনে ও উন্নতি করতে পারবে। সেই কারণেই এখনই ওকে এতটা মাথায় তোলা উচিত নয়।”
তাঁর সংযোজন, “মেগা নিলামে ওঠার আগে বৈভব অস্ট্রেলিয়ার যুব দলের বিরুদ্ধে টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিল। সেই অস্ট্রেলিয়ার আক্রমণ কিন্তু যথেষ্ট কঠিন। আন্তর্জাতিক স্তরে ১৩ বছরের একটা ছেলের সেঞ্চুরি করাটাই বড় ব্যাপার। ওর মধ্যে যে প্রতিভা রয়েছে, সেটা বোঝা যায়। আশা করি, ভবিষ্যতে ওর পারফরম্যান্স আরও ধারালো হবে।”
আসলে গাভাসকর মনে করেন, অতিরিক্ত প্রশংসা বৈভবের উপর প্রত্যাশার চাপ তৈরি করবে। তাই এক্ষেত্রে ওকে মাটিতে পা রেখে চলতে হবে। তাঁর কথায়, “অভিষেক ম্যাচের প্রথম বলেই বিরাট ছয় মেরেছিল বৈভব। কিন্তু প্রতিবার যে এমন ঘটবে, তা যেন ভেবে না বসে। কারণ বোলাররা নিখুঁতভাবে ওর ব্যাটিং খতিয়ে দেখেই কিন্তু পরবর্তী ম্যাচগুলোয় গেমপ্ল্যান তৈরি করবে। সেটা মোটেও সহজ হবে না ওর ক্ষেত্রে। আউটও হয়ে যেতে পারে ও। তাই পরের ম্যাচে ও কীভাবে নিজের ব্যাটিংয়ে ফোকাস করে সেটাই দেখব।”
প্রসঙ্গত, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচে বৈভবের সঙ্গে ব্যর্থ হয়েছে রাজস্থান রয়্যালসের গোটা ব্যাটিং বিভাগ। ২১৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১১৭ রানেই শেষ হয়ে যায় রাজস্থান ইনিংস। ১০০ রানে ম্যাচ হেরে পয়েন্ট টেবিলের অষ্টম স্থানে গোলাপি বাহিনী।