সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ৩ মার্চ তিনি বেড়াতে গিয়েছিলেন ডমিনিকান প্রজাতন্ত্রে। ৬ মার্চ তাঁকে শেষবার দেখা গিয়েছিল সমুদ্রসৈকতের কাছে। তারপর থেকে আর খোঁজ নেই ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের ওই দেশে বেড়াতে যাওয়া আমেরিকাবাসী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ছাত্রীর। ঘনাচ্ছে রহস্য। মার্কিন গোয়েন্দারা ইতিমধ্যেই নেমেছেন তদন্তে। পাশাপাশি ডমিনিকান পুলিশও খুঁজছে ওই ছাত্রীকে। কিন্তু সাতদিন কেটে গেলেও কোনও সন্ধান মেলেনি।
জানা যাচ্ছে, কয়েকজন বান্ধবীর সঙ্গে ডমিনিকায় বেড়াতে গিয়েছিলেন সুদীক্ষা কোনাঙ্কি নামের তরুণী। তিনি পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। বাকিরাও সেখানেই পাঠরত। সৈকতের কাছেই এক হোটেলে ওঠেন তাঁরা। সেই হোটেলের বাইরেই শেষবার দেখা গিয়েছিল কুড়ি বছর বয়সি ওই তরুণীকে। বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
হোটেল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, সুদীক্ষা নিখোঁজ হওয়ার ঠিক আগেই সেখানে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছিল। যার ফলে বহু অতিথিই সেখান থেকে বেরিয়ে এসে সৈকতের দিকে যাচ্ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সুদীক্ষাও ছিলেন। এদিকে তরুণীর পরিবারের দাবি, তাঁদের মেয়ের ফোন ও টাকার ব্যাগ সবই ছিল বান্ধবীদের কাছে। অথচ সুদীক্ষা সব সময়ই নিজের কাছে ফোন রাখতেন। যা থেকে ঘনাচ্ছে রহস্য। তবে কি তরুণীর অন্তর্ধানের সঙ্গে বান্ধবীদের কোনও যোগ রয়েছে? উঠছে প্রশ্ন। এফবিআই ও ডমিনিকান পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
এদিকে এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ডমিনিকার প্রেসিডেন্ট লুইস আবিনাদের। তিনি দাবি করেছেন, তাঁরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। সমস্ত রকম ভাবে খোঁজা হচ্ছে নিখোঁজ তরুণীকে। সেই সঙ্গেই তাঁর দাবি, প্রতি বছর আমেরিকা ও বিশ্বের অন্য প্রান্ত থেকে সেখানে বেড়াতে আসেন লক্ষ লক্ষ পর্যটক। কিন্তু এমন ঘটনা খুব একটা ঘটে না। সেই সঙ্গেই তিনি একটি নতুন তথ্য দিয়েছেন। জানিয়েছেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সেই সময়ই একটি বড় ঢেউ আছড়ে পড়েছিল সৈকতে। সেই ঢেউই কি ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুদীক্ষাকে? ডমিনিকার প্রেসিডেন্ট এমনই আশঙ্কা করছেন।