‘এক সপ্তাহের মধ্যে শান্তি ফিরবে’, ট্রাম্পের বার্তার পরই গাজায় ইজরায়েলের বিমান হানায় মৃত ৩৪

‘এক সপ্তাহের মধ্যে শান্তি ফিরবে’, ট্রাম্পের বার্তার পরই গাজায় ইজরায়েলের বিমান হানায় মৃত ৩৪

স্বাস্থ্য/HEALTH
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাজা ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ থামাতে ‘শান্তির দূত’ হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বার্তা দিয়েছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে শান্তি ফিরবে ওখানেও। ট্রাম্পের এহেন বার্তার পরই গাজায় হামলার ঝাঁজ বাড়ালেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। রাতভর বিমান হামলায় সেখানে মৃত্যু হল ৩৪ জনের।

ইজরায়েলের লাগাতার হামলায় গাজায় সত্যিই খুলে গিয়েছে নরকের দ্বার। গত দুই বছরে এখানে ‘মৃত্যু’ শব্দটি কার্যত দিনযাপনের অঙ্গ হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে, গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে বড় বার্তা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, “আগামী সপ্তাহের মধ্যে গাজা ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হতে পারে। আমরা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছি। গাজার পরিস্থিতি সত্যিই ভয়াবহ। আশা করছি আমরা আগামী সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছতে পারব।” যদিও এই বিষয়ে তিনি কার সঙ্গে আলোচনা করেছেন তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি। তবে তাঁর বার্তা, ইরান সমর্থিত হামাসের সঙ্গে এই যুদ্ধবিরতি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হতে পারে। সংবাদ সংস্থা এপি-র তরফে জানানো হয়েছে, এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে ইজরায়েলের মন্ত্রী রন ডার্মার আগামী সপ্তাহেই ওয়াশিংটন আসছেন।

গত দুই বছর ধরে চলা এই ভয়ংকর যুদ্ধে গাজা যখন কার্যত জনমানব শূন্য হয়ে উঠেছে, ঠিক সেই সময় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের মাঝেই হামলার ঝাঁজ বাড়িয়েছে ইজরায়েল। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত এই বিমান হামলায় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্যালেস্টাইনের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানা গিয়েছে, গাজার প্যালেস্টাইন স্টেডিয়াম যেখানে বাস্তুচ্যুতরা আশ্রয় নিয়েছিল সেখানে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া একাধিক বাড়ি ও দক্ষিণ গাজার একাধিক জায়গায় বিমান হামলায় মোট ৩৪ জন মারা গিয়েছেন।

শুধু তাই নয়, গাজার খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ক্ষুদার্থদের উপর হামলা ও মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের প্রধান আন্তেনিও গুতেরেস। তাঁর বক্তব্য, খাবারের বদলে গাজায় মৃত্যু বিলি করছে আমেরিকা। তিনি বলেন, গাজায় ত্রাণ পৌঁছনোর যে প্রক্রিয়া চলছে তা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এর মাধ্যমে সাধারন মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। যখন কোনও ব্যক্তি তাঁর পরিবারের খিদে মেটাতে খাবারের লাইনে দাঁড়াচ্ছেন তাদের হত্যা করা হচ্ছে। খাদ্য বিতরণের অর্থ কখনও হত্যাযজ্ঞ হতে পারে না।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *