সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ছিল ভোটগ্রহণ। তারপর থেকেই শুরু হয়েছিল প্রতীক্ষা। এরপরই এক্সিট পোলের হিসেব প্রকাশ্যে আসে। আর তাতেই দেখা যাচ্ছে, সব সংস্থার হিসেবই বলছে, বিজেপি ২৭ বছর পরে দিল্লির ক্ষমতায় আসতে চলেছে। স্বপ্নভঙ্গ হবে আপের। কিন্তু এই বুথফেরত সমীক্ষার হিসেব মানতে রাজি নন আপ নেতারা। আপ নেত্রী রিনা গুপ্তা বলছেন, এক্সিট পোল যাই বলুক না কেন, শেষ হাসি কিন্তু হাসবেন কেজরিওয়ালই।
রিনাকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”আপনারা পুরনো এক্সিট পোল ঘেঁটে দেখুন। দেখবেন, আপকে সব সময়ই পুরনো আসন দেওয়া হয়েছে। সে ২০১৩ হোক বা ২০১৫, অথবা ২০২০।” তাঁর দাবি, আপই ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে।
এদিকে এক্সিট পোলের হিসেবে উল্লসিত বিজেপি নেতৃত্ব। কালকাজির প্রার্থী রমেশ বিধুরি বলছেন, ”এটা মোদি ঢেউ! দিল্লির মানুষ চান, দেশের বাকি অংশে যেভাবে মোদি উন্নয়ন এনেছেন তেমন উন্নয়ন এখানেও হোক।” এদিকে বিজেপি সাংসদ হর্ষ মালহোত্রা বলছেন, ”গত ১০ বছরে আপ যে দুর্নীতি করেছে, তা সকলের সামনে তুলে ধরেছে বিজেপি।” তাঁর দাবি, এবার আপ হয়তো ইভিএমকে দায়ী করবে ফলাফলের জন্য।
কিন্তু যদি সত্যিই বিজেপি আপকে সরিয়ে ক্ষমতায় ফেরে, তাহলে কোনগুলো আপের পরাজয়ের ক্ষেত্রে ‘ফ্যাক্টর’ বলে মনে করা হবে? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আবগারি কেলেঙ্কারি একটা বড়সড় কারণ হতে পারে আপের পরাজয়ে। কেজরি-সহ দিল্লির মন্ত্রিসভার সব গুরুত্বপূর্ণ মুখই এই কেলেঙ্কারির জেরে জেলে গিয়েছেন। এতে জনমানসে প্রভাব পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আবার জেপি নাড্ডা থেকে অমিত শাহ যেভাবে লাগাতার সভা করে গিয়েছেন সেটাও বড় ফ্যাক্টর হতে পেরেছে। আবার বাজেটে আয়করে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড় দিয়ে নির্মলার ‘মাস্টারস্ট্রোক’ও ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে। যমুনার জলে বিষ মেশানোর চক্রান্তের যে অভিযোগ তুলেছিলেন কেজরি, তাও একেবারে উলটো প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।