সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলের মধ্যেই কোণঠাসা শশী থারুর। মার্কিন মুলুকে অপারেশন সিঁদুরের জয়গান গেয়ে পবন খেরা, উদিত রাজ, জয়রাম রমেশের মতো নেতাদের খোঁচার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। যদিও শশী বুঝিয়ে দিয়েছেন এসবে গুরুত্ব দিতে নারাজ তিনি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছিল, তাহলে কি তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে হাত শিবির? দলের হাই কমান্ড কী ভাবছে তাঁর সম্পর্কে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মোটেই খুশি নয় শশীর উপরে। এমনিতেই তাঁকে কংগ্রেস নয়, মোদি সরকারই বেছে নিয়েছে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলের নেতা হিসাবে। সেটাও ভালোভাবে নেয়নি কংগ্রেস নেতৃত্ব। কিন্তু সামনেই রয়েছে বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। আগামী বছরের শুরুর দিকেই অসম, কেরল, তামিলনাড়ু, বাংলার মতো একাধিক রাজ্যে ভোট। এই পরিস্থিতিতে শশী থারুরকে কোনও শাস্তি দিতে চাইছে না দলের হাই কমান্ড। আপাতত তাঁর দিকে স্রেফ নজরদারি বজায় রেখেই এগোতে চাইছে দল।
সম্প্রতি কেন্দ্রের সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলের নেতা হিসাবে আমেরিকায় পৌঁছেছেন শশী থারুর। পানামায় ভারতীয়দের সমাবেশে তিনি বলেন, “কয়েকজন মহিলা কেঁদে কেঁদে জঙ্গিদের অনুরোধ করেছিলেন তাঁদেরও যেন হত্যা করা হয়। কিন্তু জঙ্গিরা বলেছিল এই হামলার কথা সকলকে জানাতে। আমরা সেই মহিলাদের কান্না শুনেছি। তারপর সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যে লাল রঙের সিঁদুর আমাদের মহিলাদের কপাল থেকে মুছে গিয়েছিল, সেই লাল রঙের রক্তই ঝরানো হবে জঙ্গিদের দেহ থেকে।” কংগ্রেস সাংসদের কথায়, অতীতে কখনও নিয়ন্ত্রণরেখা পেরয়নি ভারত।
এরপরই দলের অন্দরে ক্ষোভের মুখে পড়েছেন তিনি। হাত শিবিরের নেতা উদিত রাজ বলেন, “উনি তো বিজেপির সুপার মুখপাত্র। প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রের সমর্থনে উনি যত কথা বলেছেন ততটা বিজেপি নেতারাও বলেননি।” আবার আরেক সিনিয়র নেতা পবন খেরা মনে করিয়ে দিয়েছেন নিজের ‘দ্য প্যারাডক্সিক্যাল প্রাইম মিনিস্টার’ বইতেই শশী দাবি করেছিলেন, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক কংগ্রেস আমলেও হয়েছিল কিন্তু সেটা নির্বাচনী ফায়দা তুলতে ব্যবহার করা হয়নি।
যদিও এসব সমালোচনাকে পাত্তা দিতে চাইছেন না বলেই জানাচ্ছেন শশী। তিনি শুক্রবারই এক্স হ্যান্ডলে জানিয়ে দিয়েছেন, সমালোচনা ও ট্রোলিংকে তিনি ‘স্বাগত’ জানাচ্ছেন। সেই সঙ্গেই তাঁর দাবি, তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।