একুশে জুলাই কয়েকলক্ষ মানুষের জমায়েতের একঘণ্টার মধ্যে সাফ মহানগরীর রাস্তা, নেপথ্যে ২৫০ সাফাইকর্মী

একুশে জুলাই কয়েকলক্ষ মানুষের জমায়েতের একঘণ্টার মধ্যে সাফ মহানগরীর রাস্তা, নেপথ্যে ২৫০ সাফাইকর্মী

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


স্টাফ রিপোর্টার: লক্ষ লক্ষ মাথা। খটখটে গরমে গলা ভেজাতে কেউ পাউচের জল খেয়েছেন। কেউ দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শুনতে শুনতে শুকনো খাবারে পেট ভরিয়েছেন। কাগজে মোড়া রুটি-তরকারি খেয়ে সে কাগজ ফেলেছেন রাস্তায়, জল খেয়ে প্লাস্টিকের পাউচ ফেলেছেন এক কোণে। পিছন ফিরে দেখেছেন আর নেই! পড়ে থাকা সেই ময়লা মুহূর্তে পরিষ্কার করেছেন কলকাতা পুরসভার কর্মীরা।

সোমবার সভাশেষে কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েছিল কলকাতা পুরসভার কর্মীরা। এক ঘণ্টার মধ্যেই ঝকঝকে রাস্তা। বোঝার উপায় নেই কিছুক্ষণ আগেই ধর্মতলায় জমায়েত হয়েছিল কয়েক লক্ষ মানুষের। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, একুশে জুলাই উপলক্ষে ছ’টা মেকানিকাল সুইপার, ১৪৪ টা ম্যানহোল পরিষ্কারের মেশিন, কুড়িটা গালিপিট এমটিয়ার, চারটে ব্লো ভ্যাক মেশিন নামানো হয়েছিল রাস্তায়। স্রেফ রাস্তা থেকে ময়লা তুলতে মোতায়েন করা হয়েছিল আড়াইশো সাফাইকর্মী। সভা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চৌরঙ্গি, জওহরলাল নেহরু রোড, মেয়ো রোড, পার্ক স্ট্রিটে সাফাই করতে নামে কয়েকশো কর্মী।

কলকাতা পুরসভার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের মেয়র পারিষদ বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার জানিয়েছেন, আড়াইশো সাফাইকর্মী নামিয়েছিল পুরসভা। লক্ষ্য ছিল একটাই, সভা শেষ হওয়ার একঘণ্টার মধ্যে গোটা রাস্তা আগের চেহারায় ফিরিয়ে দিতে হবে। হয়েছেও তাই। যতদূর গিয়েছে মানুষের মাথা, ততদূর ঘুরে বেড়িয়েছে কলকাতা পুরসভার মেকানিকাল সুইপার। নামানো হয়েছিল ব্যাটারি অপারেটেড গাড়ি। মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার বললেন, “দেড়শোর বেশি ময়লা ফেলার কন্টেনার ছিল একুশে জুলাই সভা চত্বরে। নীল পোশাকের স্বেচ্ছাসেবক নামানো হয়েছিল। আগত সমর্থকদের তাঁরা বারবার বলেছেন নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা ফেলতে। ফলে সভা চত্বর পরিষ্কার করতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি।” তবে আলাদা করে আবহাওয়াকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মেয়র পারিষদ। তাঁর কথায়, “বৃষ্টি না হওয়ায় ময়লা পরিষ্কার করতে অসুবিধা হয়নি। শুকনো খটখটে রাস্তায় দ্রুত ময়লা তোলা গিয়েছে।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *