সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর থেকে শুরু করে বিহারের ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধন। একাধিক ইস্যুতে আলোচনা চায় বিরোধীরা। অথচ সরকার গড়িমসি করছে। যার জেরে স্তব্ধ সংসদ। কার্যত কোনও কাজই হচ্ছে না গণতন্ত্রের পীঠস্থানে। যার জেরে করদাতাদের কোটি কোটি টাকা গচ্চা যাচ্ছে।
সংসদের বাদল অধিবেশনের তিনদিনে লোকসভায় এ পর্যন্ত কাজ হয়েছে মাত্র ৫৪ মিনিট। অর্থাৎ এক ঘণ্টাও নয়। তুলনায় মন্দের ভালো রাজ্যসভা। সংসদের উচ্চকক্ষে বাদল অধিবেশনে কাজ হয়েছে ৪.৪ ঘণ্টা! অর্থাৎ যা কাজ হওয়ার তার ১০ শতাংশও হয়নি। লোকসভায় কাজ হয়নি ১ হাজার ২৬ মিনিট। রাজ্যসভায় কাজ হয়নি ৮১৬ মিনিট। যে ভাবে সংসদের শাসক এবং বিরোধী শিবিরের মধ্যে ফাটল বাড়ছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে সমস্যা মেটারও ইঙ্গিত নেই।
২০১২ সালে তৎকালীন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী পবন বনসল বলেন, এক মিনিট সংসদ চালাতে সরকারের খরচ হয় আড়াই লক্ষ টাকা করে। তারপর ১৩ বছর কেটে গিয়েছে। সেই খরচ অনেকটাই বেড়েছে। তবে সেই খরচের কোনও হিসাব পাওয়া যায়নি। ২০১২ সালের সেই হিসাব মতো গেলেও বাদল অধিবেশনের ৩ দিনে নষ্ট হয়েছে ২৩ কোটি টাকা। ২০১২ সালের হিসাবে রাজ্যসভায় নষ্ট হয়েছে ২০.২ কোটি। লোকসভায় নষ্ট হয়েছে ১২.৮৩ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে নষ্ট ২৩ কোটির বেশি।
অচল সংসদের কারণ জনগণের করের টাকা নষ্ট হচ্ছে। এবার এই বিষয়টিকে সামনে রেখেই বিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রচার শুরু করছে সরকারপক্ষ। সরকারের দাবি, বিরোধীদের হট্টগোলের জেরেই সংসদ স্তব্ধ হচ্ছে। করের টাকা নষ্ট হচ্ছে।