সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহম্মদ ইউনুসের বাংলাদেশে ব্রাত্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান! রাজাকার জামাত ইসলামি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা! ফলে একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধকেও মুছে ফেলতে তৎপর পাকিস্তান প্রেমী বর্তমান শাসকেরা। যদিও এই বিষয়ে বাঁধ সাধছে পদ্মপাড়ে বর্তমানে সব থেকে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। খালেদা জিয়ার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির ফের জানালেন, একাত্তর ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে কোনও সমঝোতা নয়।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, শনিবার গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নেন মির্জা ফখরুল। সেখানেই তিনি বলেন, “১৯৭১ হচ্ছে আমাদের মূল কথা। স্বাধীনতার যুদ্ধ আমাদের মূল কথা, ওখানে কোনও কম্প্রোমাইজ নেই।” পাশাপাশি ফখরুল বলেন, “গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায়ও আমাদের কোনও কম্প্রোমাইজ নেই। আমরা অবশ্যই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি এবং গণতন্ত্রই চাই।”
রীতিমতো শঙ্কার সুরে বিএনপির মহাসচিব বলেন, “আমার মনে হচ্ছে, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, যারা জনগণের অগ্রযাত্রায় বিশ্বাস করে না, যারা শোষণহীন সমাজ গড়ে ওঠার যে রাজনীতি, সেই রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না, তারা আবার জোট পাকাচ্ছে।” এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, “আমার মনে হচ্ছে যে ফ্যাসিস্ট শক্তিকে বিতাড়িত করতে সক্ষম হয়েছিলাম, তারা ভেতরে ভেতরে সংগঠিত হচ্ছে এবং ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে।” দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিবের এই বক্তব্যে প্রশ্ন উঠছে, জামাত এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদলের রাজনৈতিক দল এনসিপিকেই কি ‘গণতন্ত্র বিরোধী ফ্যাসিস্ট’ বললেন তিনি? উল্লেখ্য, গত বুধবার শেখ মুজিবর রহমান এবং বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ভিটে’তে হামলা হয়! নারায়ণগঞ্জ জেলায় মুজিব ও হাসিনার জন্ম। সেখানে বুধবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি এবং আওয়ামি লিগ সমর্থকদের সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ৪ জনের। সেনার গুলিতেই তাঁদের মত্যু হয়। এই ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত গণহত্যা’ বলেছে আওয়ামি লিগ। ‘গোপালগঞ্জ গণহত্যা’র প্রতিবাদে ইউনুসের বাসভবন পর্যন্ত ‘লং মার্চে’র ডাক দিয়েছেন শেখ হাসিনা। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ নতুন করে রাজনৈতিক উত্তাপে ফুঁসছে।