সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একজন মুসলিম মহিলার ‘খুলা’-র মাধ্যমে বিচারবহির্ভূত বিবাহবিচ্ছেদের অধিকার রয়েছে। এর জন্য স্বামীর অনুমতির প্রয়োজন নেই। বিশেষ মুসলিম আইনই এই অধিকার দিয়েছে। মঙ্গলবার এই পর্যবেক্ষণ তেলেঙ্গানা হাই কোর্টের।
‘খুলা’ হল একজন মুসলিম মহিলার তাঁর স্বামীকে একতরফাভাবে তালাক দেওয়ার অধিকারকে বোঝায়। এটি শরিয়ত আইনের অধীনে মুসলিম পুরুষদের দেওয়া তালাকের অধিকারের মতোই বিষয়। তেলঙ্গানা হাই কোর্টের দুই বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য এবং বিআর মধুসূদন রাওয়ের বক্তব্য, খুলার মধ্যে কোনও ভুল নেই। এটি সংঘাতহীন বিবাহবিচ্ছেদের একটি পদ্ধতি। যা স্ত্রী কার্যকর করেন। তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়ে থাকে। আদালতের বক্তব্য, এক্ষেত্রে আইনত কাজটি হল ওই বিবাহবিচ্ছেদকে বিচারবিভাগীয় সিলমোহর দেওয়া।
২০২৪ সালে পরিবার আদালতে মামলা করেন এক মুসলিম ব্যক্তি। ২০২০ সালে স্ত্রীর দেওয়া ‘খুলা’ মানতে চাননি তিনি। ‘খুলানামা’ দিয়েছিল সাদা-ই-হক সারাই নামের একটি শরিয়ত কাউন্সিল। তেলেঙ্গানা হাই কোর্ট জানিয়েছে, ওই কাউন্সিলের কাছে বিবাহবিচ্ছেদে সিলমোহর দেওয়ার আইনি অধিকার নেই। তবে মুসলিম পুরুষদের তালাকের সমান্তরাল ‘খুলা’র অধিকার আছে মুসলিম মহিলাদেরও। এই অধিকার মুসলিম আইনই দিয়েছে তাঁদের। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “স্ত্রীর খুলার অধিকার স্বামীর তালাকের অধিকারের সমান্তরাল… স্বামী মেহর (মোহরানা) ফেরত দেওয়ার জন্য আলোচনা করতে পারেন, কিন্তু স্ত্রীকে বিবাহ চালিয়ে যেতে বাধ্য করতে পারেন না।”