একই এপিক নম্বরে উত্তরপ্রদেশেও নাম, এবার মাথাভাঙায় মিলল ১৫ জন ভূতুড়ে ভোটার!

একই এপিক নম্বরে উত্তরপ্রদেশেও নাম, এবার মাথাভাঙায় মিলল ১৫ জন ভূতুড়ে ভোটার!

ইন্ডিয়া খবর/INDIA
Spread the love


বিক্রম রায়, কোচবিহার: এবার ভূতুড়ে ভোটার মিলল কোচবিহারের মাথাভাঙা পুরসভা এলাকায়। এপিক নম্বরে উত্তরপ্রদেশের ভোটারের নাম রয়েছে। সেই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটার তালিকা নিয়ে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের মঞ্চ থেকে। ভুয়ো ভোটারদের ধরতে তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। এই বিষয়ে কমিটিও তৈরি হয়েছে তৃণমূলে। দলনেত্রীর সেই বার্তার পরেই ময়দানে মেনে পড়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই কর্মসূচিতেই শনিবার ভুয়ো ভোটারের অস্তিত্ব মিলেছে।

শনিবার সকাল দশটা নাগাদ মাথাভাঙা তৃণমূলের শহর ব্লক নেতৃত্বে মাথাভাঙা পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের বুথে পর্যবেক্ষণের জন্য বাড়ি বাড়ি যান তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁরা ভোটার লিস্ট মিলিয়ে লক্ষ্য করেন প্রায় ১৫ জনের তালিকায় গরমিল আছে। ওই এলাকার ভোটার লিস্টের নাম থাকলেও একই এপিক নম্বরে উত্তরপ্রদেশের ভোটারের নামও রয়েছে। ভোটার কার্ডের সঙ্গে মিল রয়েছে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা সঙ্গিতা ও আনসারির নামে।

15 ghost voters were found in Mathabhanga
দিনহাটায় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে মন্ত্রী উদয়ন গুহ। নিজস্ব চিত্র

তাহলে মাথাভাঙা শহরেও ভূতুড়ে ভোটারের অস্বিস্ত পাওয়া গেল? সেই প্রশ্ন উঠে গেল। অন্যান্য ভোটাররাও আতঙ্কিত হয়েছেন। তৃণমূল নেতৃত্ব জানান, সংশোধনের জন্য তাঁরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হবেন। একই নম্বরে এপিক কার্ড থাকলে পরবর্তীতে তাদের ভোটের নাম বাতিল হতে পারে অথবা কোনও অঘটন ঘটতে পারে। সেই কথাও বলা হয়েছে। এদিন দিনহাটা শহরে ভোটার তালিকা নিয়ে বেরিয়েছিলেন রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। পুর এলাকার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যান তিনি। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সমীর সরকার-সহ অন্যান্য তৃণমুল নেতা-কর্মীরাও ছিলেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন উদয়ন গুহ। ভোটার লিস্ট হাতে বাসিন্দাদের বাড়িতে পৌঁছে অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার কার্ডের নথি যাচাই চলে। আগামী দিনেও এই কর্মসূচি চলবে। এই কথা জানিয়েছেন মন্ত্রী। কোচবিহার জেলার একাধিক জায়গায় আরও ভূতুড়ে ভোটার লুকিয়ে থাকতে পারেন। সেই আশঙ্কাও করা হচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ






Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *