জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: মা ও মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল যুবকের! সেই বিষয়টি জানাজানি হতে পরিবারে অশান্তিও চলছিল বলে অভিযোগ। তার মধ্যেই ঘর থেকে উদ্ধার নাবালিকার গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মৃতদেহ! ‘খুন’ নাকি ‘আত্মহত্যা’, সেই প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর দেবগড় এলাকায়। পুলিশ তদন্তে নেমে গ্রেপ্তার করেছে সঞ্জয় দত্ত নামে ওই ‘প্রেমিক’ যুবককে। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, দেবগড় এলাকার বাসিন্দা নীলিমা হালদার। অভিযোগ, বনগাঁ হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে ছিলেন তিনি। দেবগড় এলাকার ওই বাড়িতেও সঞ্জয়ের যাতায়াত ছিল বলে খবর। অভিযোগ, এরই মধ্যে নীলিমার বছর ১৫-এর কিশোরী মেয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ বাড়তে থাকে সঞ্জয়ের। মেয়ের সঙ্গেও সঞ্জয় প্রেমের সম্পর্ক চালাতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। বেশ কিছু দিন ধরেই একই সঙ্গে মা-মেয়ের সঙ্গে ওই যুবক প্রেম চালাচ্ছিলেন বলে খবর। সম্প্রতি, বিষয়টি জানাজানি হয়ে গিয়েছিল। তাই নিয়ে ওই পরিবারে অশান্তিও হয়েছিল বলে খবর।
গতকাল রবিবার ঘর থেকে ওই নাবালিকার গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ওই কিশোরীর ঠাকুমা সেই ঘটনা দেখতে পেয়ে অন্যান্যদের খবর দেন। বনগাঁ থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সঞ্জয়ের যাতায়াতের জন্য ওই বাড়িতে প্রায়শই অশান্তি হত। সঞ্জয় ও নীলিমা কোনওভাবে ওই কিশোরীকে প্ররোচনা দিয়ে থাকতে পারেন? এটি খুন নাকি আত্মহত্যা? সেই প্রশ্নও উঠেছে। ওই কিশোরীর বাবা বাসুদেব হালদার সঞ্জয় দত্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তারই ভিত্তিতে সঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিন বনগাঁ আদালতে তোলা হয় ধৃতকে। তাঁকে তিনদিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। বনগাঁ মহকুমা আদালতের আইনজীবী সমীর দাস বলেন, “এক মহিলার সঙ্গে ওই যুবকের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। পরে মেয়ের সঙ্গেও সম্পর্ক তৈরি করেন। অভিযুক্তকে নিয়ে দু’জনের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছিল।”