নিরুফা খাতুন: পরনে রাজ্য পুলিশের পোশাক। সঙ্গে এক তরুণী। হন্তদন্ত হয়ে থানায় ঢুকলেন যুবক। চোখের সামনে যাকে দেখছেন, তাকে স্যালুট করছেন। পদমর্যাদায় যে যাই হোন না কেন। তা দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। চেপে ধরতেই পর্দাফাঁস। ‘ভুয়ো’ পুলিশকে শ্রীঘরে পাঠাল এন্টালি থানার পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শুক্রবার দুপুরের এই ঘটনা যেন সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানায়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের বাসিন্দা ধৃত দীপ্তেন্দু বাগ। জানা গিয়েছে, বছর তিনেক ধরে এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে তার। নিজেকে বরাবর রাজ্য পুলিশের কর্মী বলেই দাবি করেন। সূত্রের খবর, প্রেমিকাকে জানান এন্টালি থানার পুলিশের সঙ্গে তাঁর পরিচিতি রয়েছে। ওই মিথ্যাকেই সত্যি প্রমাণ করে প্রেমিকার মন জয় করতে চেয়েছিলেন যুবক। তাই শুক্রবার দুপুরে তরুণীকে নিয়ে সোজা থানায় পৌঁছন। সকলকে স্যালুট করতে গিয়ে বাঁধে যত গণ্ডগোল। সাধারণত অধঃস্তনদের কেউ স্যালুট করেন না। তবে ‘ভুয়ো’ পুলিশ দীপ্তেন্দু কারও পদের কথা মাথায় না রাখায় বিপত্তি। আপাতত শ্রীঘরে অভিযুক্ত। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, যুবক তার অপরাধ এখনও স্বীকার করেননি। পুলিশ সূত্রে খবর ওই যুবক জানান, সম্প্রতি নিজের টাকার ব্যাগ হারিয়ে গিয়েছিল। সেই সময় এন্টালি থানার এক পুলিশ আধিকারিক তাঁকে সাহায্য করেন। সে কারণে এদিন দুপুরে স্রেফ ধন্যবাদ জানাতে গিয়েছিলেন। অথচ ভুল ভেবে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। একে তো তিনি প্রতারিত হয়েছেন আবার প্রেমিকের এহেন কীর্তি – সবমিলিয়ে কার্যত তাজ্জব তার প্রেমিকা।