উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াল বিজেডি-বিআরএস, আচমকা কেন এই সিদ্ধান্ত?

উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াল বিজেডি-বিআরএস, আচমকা কেন এই সিদ্ধান্ত?

রাজ্য/STATE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিল বিজেডি (ভারত রাষ্ট্র সমিতি) এবং বিআরএস (বিজু জনতা দল)। বিজেডির তরফে দলের সাংসদ সস্মিত পাত্র এবং বিআরএসের তরফে তেলঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের পুত্র তথা দলের কার্যনির্বাহী সভাপতি কেটি রামা রাও একথা ঘোষণা করেছেন।

এ প্রসঙ্গে রাও বলেন, “তেলেঙ্গানায় ইউরিয়ার ঘাটতির কারণে কৃষকরা সমস্যায় পড়েছেন। কিন্তু সেই সমস্যা সমাধানে বিজেপি বা কংগ্রেস কেউই কোনও উৎসাহ দেখায়নি। তাই কৃষকদের পাশে দাঁড়াতেই আমরা উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদি ভোটে নোটার বিকল্প থাকত, তাহলে বিআরএস সেটা ব্যবহার করত।” অন্যদিকে, সস্মিত বলেন, “বিজেডি প্রধান নবীন পট্টনায়ক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেডি ভোটদান থেকে বিরত থাকবে। কংগ্রেস এবং বিজেপির থেকে দূরত্ব বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। ওড়িশা এবং রাজ্যের সাড়ে ৪ কোটি মানুষের উন্নয়নের উপরই আমাদের সম্পূর্ণ মনোযোগ।” 

উল্লেখ্য, ২১ জুলাই রাতে আচমকাই শারীরিক কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়। তারপর থেকেই পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহরা তাঁদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও সংঘ পরিবারের পছন্দের মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল সি পি রাধাকৃষ্ণানকে প্রার্থী করেন। অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বি সুদর্শনকে প্রার্থী করে চমক দেয় ইন্ডিয়া জোট। কেন দু’পক্ষই দক্ষিণ ভারতের অখণ্ড অন্ধ্রপ্রদেশে জন্মগ্রহণ করা দু’জনকে প্রার্থী করলেন? সূত্রের খবর, তৃতীয় মোদি সরকার গঠনের সময় লোকসভার অধ্যক্ষের পদ দাবি করেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নায়ডু। কিন্তু অধ্যক্ষের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ শরিকদের হাতে ছাড়তে চাননি মোদি-শাহরা। তাতে মনঃক্ষুণ্ণ হন চন্দ্রবাবু। রাধাকৃষ্ণানকে প্রার্থী করে মোদি-শাহরা ‘এক ঢিলে দুই পাখি’ মেরেছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অন্যদিকে পালটা সুদর্শন রেড্ডিকে প্রার্থী করে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে ইন্ডিয়া জোট। কারণ জন্মসূত্রে তিনিও দক্ষিণ ভারতীয় এবং একসময় চন্দ্রবাবুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাই এবার এনডিএ প্রার্থীর জয় মসৃণ হবে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *