সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আচমকা অবসর নিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়। মঙ্গলবার তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচন হবে। জানা গিয়েছে, সকাল ১০টা থেকে শুরু করে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। সন্ধে ৬টা থেকে শুরু ভোটগণনা। মঙ্গলবার রাতের মধ্যেই জানা যাবে, দেশের পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি হচ্ছেন কে।
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে পুরোদমে প্রস্তুতি নিয়েছে এনডিএ-ইন্ডিয়া দুই শিবিরই। মক পোলের মাধ্যমে সাংসদদের শেখানো হয়েছে, কীভাবে ভোট দিতে হবে। এবার উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের অঙ্ক বেশ কঠিন ও জটিল। কারণ সরকার ও বিরোধী শিবিরের মধ্যে ব্যবধান আগেরবারের তুলনায় অনেকটাই কম। ফলে ক্রস ভোটের সম্ভাবনাও প্রবল হচ্ছে। সেকারণেই দুই শিবির চাইছে, ভোটদানের প্রক্রিয়ায় যেন কোনও ত্রুটি না থাকে। তবে ভোটের আগেই বিআরএস এবং বিজেডি জানিয়ে দিয়েছে, তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না।
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রয়েছে জটিল অঙ্কের খেলা। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেন সংসদের দুই কক্ষের সাংসদরা। জগদীপ ধনকড়ের সময় লোকসভায় বিজেপির একার ৩০২ সাংসদ ছিল। তারপর শরিকদের সমর্থন ছিল। রাজ্যসভাতেও অনেকটাই এগিয়ে ছিল এনডিএ। এবার বিজেপির ২৩৫ জন সাংসদ। ফলে নির্ভর করতে হচ্ছে নীতীশ কুমার, চন্দ্রবাবু নায়ডু, চিরাগ পাসোয়ানদের ওপর। এছাড়াও ছোট ছোট শরিকদের কাছে সমর্থনের জন্য হাত পাততে হচ্ছে।
অন্যদিকে, এবার ইন্ডিয়া জোট অনেক বেশি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ। গতবার লোকসভায় কংগ্রেসের ছিল ৫৪টি আসন। এবার বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ। আবার তৃণমূল বা ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টির শক্তিও দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু ভোট যেহেতু গোপন ব্যালটে হবে, তাই অনেক সাংসদই ‘ক্রশ ভোট’ করতে পারে বলে আশঙ্কা। তাই আগে থেকেই সতর্ক দু’পক্ষ। যেহেতু দক্ষিণী আবেগকে হাতিয়ার করে দু’পক্ষই দক্ষিণ ভারতীয়কে প্রার্থী করেছে, তাই এবার এনডিএ প্রার্থীর জয় মসৃণ হবে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক কারবারিরা।