উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিলেন মোদি, খাড়গের হাত ধরে ভোটকেন্দ্রে গড়করি

উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিলেন মোদি, খাড়গের হাত ধরে ভোটকেন্দ্রে গড়করি

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৪ তম উপরাষ্ট্র নির্বাচন উপলক্ষে সকাল ১০টা থেকে সংসদে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। এনডিএ প্রার্থী সিপি রাধাকৃষ্ণণ বনাম ইন্ডিয়া জোটের সুদর্শন রেড্ডির এই নির্বাচনী লড়াইয়ে প্রথম ভোটটি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর একে একে ভোট দিতে দেখা গেল কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে, জেপি নাড্ডা, নীতীন গড়করিদের। ভোট কেন্দ্রে হাত ধরাধরি করে আসতে দেখা যায় কংগ্রেস সভাপতি খাড়গে ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়করিকে। এই ঘটনাও চর্চায় উঠে এসেছে।

এদিন সংসদ পরিসরে প্রধানমন্ত্রীর ভোটদানের পর সংসদে আসতে দেখা যায় দুই বরিষ্ঠ নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে ও নীতীন গড়করি। একে অপরের হাত ধরে খোশ মেজাজে গল্প করতে করতে সংসদে ঢোকেন তাঁরা। এই ছবি সামনে আসার পর বিজেপির তরফে কোন প্রতিক্রিয়া না এলেও, ছবিকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে নিশানা করেছে কংগ্রেস। হাত শিবিরের মুখপাত্র অখিলেশ প্রতাপ সিং বলেন, “এটাই আসল গণতন্ত্রের ছবি। আপনারা কখনও প্রধানমন্ত্রী মোদিকে দেখেছেন কোনও বিরোধী নেতার হাত ধরে হাঁটছেন। উনিতো সর্বদাই রেগে থাকেন। এবং কারও সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজনবোধ করেন না।” পাশাপাশি শাসক-বিরোধী ঐক্যের ছবি দেখা গিয়েছে অখিলেশ যাদব ও গিরিরাজ সিংয়ের মধ্যেও। দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে সংসদে দেখা যায় খোশ মেজাজে গল্প করতে।

উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই স্বাস্থ্যের কারণ দেখিয়ে উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জগদীপ ধনকড়। এর ঠিক ৫০ দিন পর মঙ্গলবার তাঁর উত্তরসূরি বাছতে শুরু হয়েছে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের পর রাতেই ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এই নির্বাচনে রয়েছে জটিল অঙ্কের খেলা। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেন সংসদের দুই কক্ষের সাংসদরা। জগদীপ ধনকড়ের সময় লোকসভায় বিজেপির একার ৩০২ সাংসদ ছিল। তারপর শরিকদের সমর্থন ছিল। রাজ্যসভাতেও অনেকটাই এগিয়ে ছিল এনডিএ। এবার বিজেপির ২৩৫ জন সাংসদ। ফলে নির্ভর করতে হচ্ছে নীতীশ কুমার, চন্দ্রবাবু নায়ডু, চিরাগ পাসোয়ানদের ওপর। এছাড়াও ছোট ছোট শরিকদের কাছে সমর্থনের জন্য হাত পাততে হচ্ছে। এনডিএ-র সংখ্যা বলে শাসকদল এগিয়ে থাকলেও ভোট কাটাকাটির আশঙ্কা রয়েছে।

অন্যদিকে ইন্ডিয়া জোট অনেক বেশি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ। গতবার লোকসভায় কংগ্রেসের ছিল ৫৪টি আসন। এবার বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ। আবার তৃণমূল বা ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টির শক্তিও দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু ভোট যেহেতু গোপন ব্যালটে হবে, তাই অনেক সাংসদই ‘ক্রস ভোট’ করতে পারে বলে আশঙ্কা। তাই আগে থেকেই সতর্ক দু’পক্ষ। যেহেতু দক্ষিণী আবেগকে হাতিয়ার করে দু’পক্ষই দক্ষিণ ভারতীয়কে প্রার্থী করেছে, তাই এবার এনডিএ প্রার্থীর জয় মসৃণ হবে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক কারবারিরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *