হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: নভেম্বর ২০২৪ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২৫, মাত্র আড়াই মাসের ব্যবধানে উপনির্বাচনে দশটির মধ্যে আটটি আসনেই জয়লাভ করল বিজেপি। যোগীর নেতৃত্বে বিরাট সাফল্য গেরুয়া শিবিরের। রাজ্যে প্রশাসনের দক্ষতা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিতেই ভরসা রেখেছে জনতা, দাবি গেরুয়া শিবিরের। বর্তমান নির্বাচনে শুধু বিজেপি জেতেনি, পাশাপাশি কাটেহারি, মিল্কিপুরের মতো আসন থেকে সমাজবাদী পার্টিকে উৎখাত করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলতি উপনির্বাচনে সমাজবাদির পার্টির ‘পরিবারবাদ’কে ছুড়ে ফেলেছে জনতা, সেখানে বিজেপির জাতীয়তাবাদকে সমর্থন করেছে তারা। সেই কারণেই আটটির মধ্যে একা বিজেপিই পেয়েছে সাতটি আসন। অন্যদিকে এনডিএ শরিক আরএলডি একটি আসনে জয়লাভ করেছে। সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ে এসেছে কুনদারকিতে। দ্বিতীয় স্থানে গাজিয়াবাদ এবং তৃতীয় বড় জয় মিলেছে কাটেহারিতে।
তিন দশক পর কাটেহারিতে জয় ছিনিয়ে নিল বিজেপি। এই আসনে বিজেপি প্রার্থী ধর্মরাজ নিশাদ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সমাজবাদী পার্টির শোভাবতী বর্মাকে হারিয়েছেন ৩৪ হাজার ৫১৪ ভোটে। অন্যদিকে কুনদারকিতে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ভোটে জিতেছেন গেরুয়া প্রার্থী। অন্যদিকে মিল্কিপুরেও পদ্ম ফুটেছে, যে এলাকা এক সময় বিরোধীদের গড় বলে পরিচিত ছিল। বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, যোগীর নেতৃত্বে সরকারি প্রকল্প, প্রশাসনিক দক্ষতা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি বিজেপির বড় জয়ের প্রধান কারণ।