উত্তরে নতুন লাইনে বরাদ্দ ১৭৮৬ কোটি

উত্তরে নতুন লাইনে বরাদ্দ ১৭৮৬ কোটি

শিক্ষা
Spread the love


সানি সরকার, শিলিগুড়ি: চিকেন নেকে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বাড়তি নজর। ওই লক্ষ্যে নিউ জলপাইগুড়ি জংশন ও আলুয়াবাড়ি রোড জংশনের মধ্যে তৃতীয় ও চতুর্থ লাইন পাতার সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিল কেন্দ্র। ৫৬.৭ কিলোমিটারের ওই কাজটির জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১,৭৮৬ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পৌরোহিত্যে আয়োজিত বৈঠকে দেশের চারটি প্রকল্পে সিলমোহর পড়ে। তার মধ্যে রয়েছে উত্তরবঙ্গের এই প্রকল্পটিও। প্রকল্পটির মধ্যে দিয়ে শুধু রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় গতি পাবে তা নয়, কয়েকটি সড়কপথও যানজটমুক্ত হবে। কেননা, এই প্রকল্পে তৈরি হবে একাধিক রোড ওভারব্রিজ, আন্ডারপাস।

কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে গত মাসে উত্তরবঙ্গের রেল ব্যবস্থায় বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলেছিলেন অশ্বিনী বৈষ্ণো। চিকেন নেকের সুরক্ষার প্রশ্নে যে বিশেষ নজর, তাও সেদিন স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী। তাঁর ঘোষণায় ছিল, নিউ জলপাইগুড়ি জংশন (এনজেপি) ও আলুয়াবাড়ি রোড জংশনের মধ্যে তৃতীয় ও চতুর্থ লাইন পাতার কথাও। এদিন যে চারটি রেলপ্রকল্পে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা, তাতে খরচ হবে ১১,১৬৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১,৭৮৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে এনজেপি-আলুয়াবাড়ি রোড জংশনের তৃতীয় ও চতুর্থ লাইনের ক্ষেত্রে।

রেল সূত্রে খবর, ৫৬.৭ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা ৭টি স্টেশনকে নতুন রূপ দেওয়া হবে। দুটি নতুন লাইন পাতার ক্ষেত্রে বড়-ছোট মিলিয়ে তৈরি করা হবে ৯৯টি সেতু। এছাড়াও ৩টি আরওবি এবং ৮টি আন্ডারপাস তৈরি হবে। রাঙ্গাপানির রেলগেটটিকে আরওবি করা হচ্ছে। পাশাপাশি, ফাঁসিদেওয়ার কান্তিভিটা ও শিলিগুড়ির তিনবাত্তি মোড় সংলগ্ন ডাবললাইনের আরওবিকে ফোর্থলাইন আরওবি করা হবে। প্রকল্পটিতে রয়েছে ইসলামপুর-ঠাকুরগঞ্জ সড়কে বড় ধরনের আন্ডারপাস তৈরির ভাবনাও।

রেলকর্তাদের বক্তব্য, পিএম গতিশক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে প্রকল্পটি। ফলে বিরামহীন যোগাযোগ ঘটবে এই অঞ্চলে। অন্য ট্রেন আসবে বলে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না দীর্ঘক্ষণ। পাশাপাশি, প্রকল্পটির মধ্যে দিয়ে দিল্লি-গুয়াহাটির মধ্যে যোগাযোগ আরও উন্নত হবে। উপকৃত হবে নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকাও।

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জলকিশোর শর্মা বলছেন, ‘প্রকল্পটির লক্ষ্য ২১.৬ মিলিয়ন টন অতিরিক্ত কার্গোর চলাচল সহজতর করা। যা ২৫৫১ কোটি টাকা সাশ্রয় করবে। প্রতি বছর ২.১৪ কোটি লিটার সাশ্রয়ের মাধ্যমে জ্বালানি সংরক্ষণে উজ্জ্বল ভূমিকা পালন করবে। পাশাপাশি সংলগ্ন অঞ্চলের আর্থিক বিকাশ ঘটাবে।’

এই প্রকল্পটিতে আর্থিক অনুমোদনের পর আশা জাগছে এনজেপি-শিলিগুড়ি জংশন-বাগডোগরা-নকশালবাড়ি-ঠাকুরগঞ্জ রুট ডাবললাইন হওয়া নিয়েও। রেল সূত্রে খবর, এই ডাবললাইনের জন্য চূড়ান্ত সমীক্ষা হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা অনুমোদন দিলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। তবে একটি সূত্রে খবর, জমিজটের কারণেই প্রকল্পটি আটকে রয়েছে।

শিলিগুড়ি-বাগডোগরা রেল উন্নয়ন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক গোপাল দেবনাথ বলছেন, ‘এনজেপি-আলুয়াবাড়ির সঙ্গে এই রুটেও সমীক্ষা হয়েছিল। বুঝতে পারছি না কেন প্রকল্পটি আটকে রয়েছে। প্রকল্পটি হলে প্রচুর মানুষ উপকৃত হবেন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *