উত্তরের অতিভারী বৃষ্টিতে হলুদ সতর্কতা জারি তিস্তায়, মহানন্দায় ভেসে গেল বালক!

উত্তরের অতিভারী বৃষ্টিতে হলুদ সতর্কতা জারি তিস্তায়, মহানন্দায় ভেসে গেল বালক!

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: অতিভারী বৃষ্টিতে কার্যত ভয়াবহ রূপ নিয়েছে পাহাড়। টানা বৃষ্টিতে তীব্র জলস্রোত দেখা দিয়েছে তিস্তা নদীতে। ভয়ঙ্কর রূপ পাহাড়ি এই নদীর। দার্জিলিং, কালিম্পং, সিকিমে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে বলে খবর। উত্তর সিকিমে বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়েছেন কিছু পর্যটক। তাঁদের উদ্ধারের জন্য নেমেছে স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন।

উত্তরের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির আগাম সতর্কতার কথা জারি করেছিল আবহাওয়া দপ্তর। শনিবার রাত থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। রাতভর বৃষ্টিতে উত্তরের নদীগুলিতে জলস্তর অনেকটাই বেড়েছে বলে খবর। টানা বৃষ্টিতে ভয়ংকর রূপ নিয়েছে তিস্তা। তিস্তার জলের তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সঙ্কলাং সেতুর স্তম্ভ। ইতিমধ্যেই তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। একই সতর্কতা রয়েছে জলঢাকায়। জলস্তর বেড়েছে করলা, মহানন্দারও। মহানন্দায় নেমে ভেসে গিয়েছে শিলিগুড়ি শহরের এক বালক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।

হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, রবিবার দুপুর পর্যন্ত ফালাকাটায় ২২৮ মিলিমিটার, ডায়নায় ১৫৯ মিলিমিটার, জলপাইগুড়িতে ১৩১ মিলিমিটার, ময়নাগুড়িতে ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টি হয়েছে ১১৯ মিলিমিটার। হাসিমারা ও মেখলিগঞ্জে ১১২ মিলিমিটার ও ১৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রবিবার রাতেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অতি বর্ষণে পরিস্থিতি কী হবে? সেই প্রশ্নও উঠছে। জাতীয় সড়কে বেশ কয়েকদিন ধরে ধস নামায় যান চলাচল দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ ছিল। শনিবার কালিম্পং-সহ অন্যান্য জায়গায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর ধস নেমেছিল। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায় সেই রুটে। ঘুরপথে যান চলাচল করে। ফলে প্রবল সমস্যায় পড়েন স্থানীয় থেকে পর্যটকরা। এবার বৃষ্টির ফলে নতুন করে জাতীয় সড়কে ধস নামার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিন রাস্তায় গাড়ির লম্বা লাইন দেখা যায়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *