সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছেলের শ্রাদ্ধের দিনই মৃত্যু হল মায়ের! গত ১৫ জুন কেদারনাথ থেকে যাত্রী নিয়ে ফেরার পথে মৃত্যু হয় হেলিকপ্টারের পাইলট-সহ সাতজনের। দুর্ঘটনার মৃত হেলিকপ্টারের ক্যাপ্টেন রাজবীর সিং চৌহান ছিলেন একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী। রবিবার ছেলের শ্রাদ্ধের দিন হৃদরোগে মৃত্যু হল মায়ের।
মৃত ক্যাপ্টেনের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ছেলের মৃত্যুর পর থেকেই মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন বিজয়লক্ষ্মী চৌহান। ছেলের শেষকৃত্যের পর থেকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এরই মধ্যে রবিবার ছেলের শ্রাদ্ধের দিনই মৃত্যু হল তাঁর।
উল্লেখ্য, ১৫ বছর সেনায় কর্মরত থাকার পর ২০২৪ সালে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদ থেকে অবসর নেন রাজবীর। এরপর থেকেই বিমান ও হেলিকপ্টার চালানোয় দক্ষ ক্যাপ্টেন রাজবীর যোগ দেন কেদারনাথে একটি বেসরকারি হেলিকপ্টার পরিষেবা সংস্থায়। জানা গিয়েছে, কর্নেল রাজবীর ভারতীয় সেনাবাহিনীতে থাকার সময় একাধিক বিমান উড়িয়েছিলেন। হেলিকপ্টার পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের প্রশিক্ষণও পেয়েছিলেন। ২০০০ ঘণ্টা হেলিকপ্টার ওড়ানোর অভিজ্ঞতা ছিল কর্নেল রাজবীরের।
এদিকে চারধামের যাত্রায় হেলিকপ্টার যাত্রা যেন আতঙ্কের আরেক নাম হয়ে উঠেছে। মাত্র ৪০ দিনে ভেঙেছে ৫ কপ্টার, মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১২ জনের। গত ১৫ জুন গুপ্তকাশী যাওয়ার পথে আরিয়ান এভিয়েশনের একটি হেলিকপ্টার গৌরীকুণ্ডের জঙ্গলে ভেঙে পড়ে। পাইলট-সহ কপ্টারে থাকা ছ’জনেরই মৃত্যু হয়। তারপরেই বারবার ভেসে আসে চারধাম যাত্রায় লাগাতার দুর্ঘটনার ছবি। মর্মান্তিক ঘটনার পরেই প্রশ্ন উঠছে, এই হেলিকপ্টার যাত্রা কি আদৌ সুরক্ষিত? কারণ ২ মে থেকে কেদারনাথের দরজা পুণ্যার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার পর এই নিয়ে পঞ্চমবার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে তীর্থযাত্রী বোঝাই হেলিকপ্টার। পাহাড়ি এলাকায় কপ্টার চালানো যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং বলেই মনে করেন বিশ্লেষকরা। তা সত্ত্বেও কেন এই অঞ্চলে বারবার কপ্টার পরিষেবার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে? সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।