শেখর চন্দ্র, আসানসোল: জলপাইগুড়িতে বসে দাদাকে হত্যার ব্লুপ্রিন্ট তৈরি, শার্প শুটার ভাড়া করে সেই ছক বাস্তবায়িত করা। কুলটিতে পুরকর্মীকে গুলি করে খুনের ঘটনায় এবার গ্রেপ্তার মূল চক্রী মৃতের খুড়তুতো বোন। সোমবার সন্ধ্যায় ফারহানাজ ওরফে সামা নামের ওই মহিলাকে জলপাইগুড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হয়েছে তার গাড়িচালক সৈয়দ আখতার ওরফে ফয়জলও। কুলটিতে মৃত জাভেদ বারিকের বাবার জলপাইগুড়িতে ৩২ কাঠা জমি নিয়ে বিবাদের জেরে এই হত্যার ছক বলে মনে করছে পুলিশ। ওই জমির বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা বলে জানা গিয়েছে।
গত শুক্রবার রাতে কুলটিতে শুটআউটের ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় পুরসভার কর্মী জাভেদ বারিককে গুলি চালিয়ে খুন করেন বাইক আরোহী দুই দুষ্কৃতী। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, জমি বিবাদের জেরে এই হত্যাকাণ্ড। কে বা কারা তা ঘটিয়েছে, খুঁজতে শুরু করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছিল জাভেদের খুড়তুতো ভাই ইফতিকাম আলমকে। তাকে জেরা করে জলপাইগুড়িতে জাভেদের এক খুড়তুতো বোনের হদিশ মেলে। জানা যায়, জলপাইগুড়ির জমি নিয়েই পারিবারিক সমস্যা। এনিয়ে একমাস আগে মৃতের খুড়তুতো বোন ও তার স্বামী কুলটির নিয়ামতপুরে বাড়িতে ঢুকে হামলাও চালিয়েছিল। জাভেদকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিল।
পরবর্তী সময়ে জলপাইগুড়িতে বসে জাভেদকে হত্যার নীল নকশা তৈরি করে ফারহানাজ ওরফে সামা। সেইমতো শার্প শুটারের সঙ্গে যোগাযোগ থেকে গোটা হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করা, সবটাই হয়েছে মৃতের খুড়তুতো বোন সামার পরিকল্পনামাফিক। যে শার্প শুটার জাভেদকে গুলি করে, তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। সামা ও তার গাড়িচালককে জলপাইগুড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে আসানসোলে আনা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে আদালতে পেশ করা হবে।