সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইরান-ইজরায়েল সংঘাতে মৃত্য়ুমিছিল মধ্য়প্রাচ্যে। ইহুদি সেনার মারে কাঁপছে তেহরান। এই সংঘর্ষে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকাও। এর মাঝে ইউক্রেনে হামলা জারি রেখেছে রাশিয়া। রাতভর কিয়েভে আছড়ে পড়েছে শয়ে শয়ে রুশ ড্রোন ও মিসাইল। ঘুমন্ত অবস্থাতেই প্রাণ গিয়েছে ১৪ জনের। আহত একশোর কাছাকাছি।
তিন বছর পেরিয়ে গেলেও লড়াই থামার নাম নেই। একে অপরকে ঝাঁজরা করে দিচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন। দু’দেশকে শান্তির পথে আনার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে আমেরিকা। মে মাসে শান্তি আলোচনা হয়েছে তুরস্কের ইস্তানবুলে। যা খুব একটা ফলপ্রসু না হলেও বন্দি বিনিময়ে সম্মত হয় যুযুধান দু’পক্ষ। কিন্তু হামলা পালটা হামলা থামেনি। এর মাঝেই ১ জুন আকস্মিক হামলা চালিয়ে শক্তিধর রাশিয়াকে কাঁপিয়ে দেয় ইউক্রেন। বায়ুসেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে ‘অপারেশন স্পাইডার ওয়েব’ চালায় জেলেনস্কির দেশ। যাকে মাকড়সা জালের সঙ্গে তুলনা করা হয়। ধ্বংস করে দেওয়া হয় রুশ বোমারু বিমান Tu-95, Tu22M3 ও একটি A-50 বিমান। সেই থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে মস্কো। কয়েকদিন আগেই ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহরে আগুন ঝরায় রুশ সেনা। ছোড়া হয় ৪৭৯টি ড্রোন, ২০ ক্ষেপণাস্ত্র।
এপি সূত্রে খবর, সোমবার রাতভর কিয়েভে আঘাত হানে রাশিয়া। শহরের সামরিক প্রশাসনের প্রধান টাইমুর তাকাচেঙ্কো জানান, এই হামলায় ১৪ জনের মৃত্য়ু হয়েছে। একটি ৯ তলা বিল্ডিংয়ে মিসাইল আছড়ে পড়ে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ক্ষোভ উগরে জানিয়েছেন, কিয়েভের বুকে হওয়া অন্য়তম ভয়াবহ হামলা। গোটা রাত ধরে রুশ সেনা ৪৪০ ড্রোন, ৩২টা মিসাইল ছুড়েছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল থেকে কানাডার কানানাস্কিসে শুরু হয়েছে চলতি বছরের G-7 বৈঠকে। রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন এই সংগঠনে বিশ্বের দুই শক্তিশালী রাষ্ট্র রাশিয়া ও চিনকে যুক্ত করার জন্য। ট্রাম্প বলেন, “রাশিয়াকে যদি এই সংগঠন থেকে বাইরে বের না করা হত তাহলে ইউক্রেন যুদ্ধ এড়ানো সম্ভব হত।” শুধু তাই নয়, এই যুদ্ধের জন্য আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা ও কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে দায়ী করেন তিনি। এই সম্মেলনে মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে জেলেনস্কি আর ট্রাম্পের।