উচ্চবর্ণের হিন্দু ভোট চাই, জাতগণনাও, বিজেপির দু’নৌকায় পা?

উচ্চবর্ণের হিন্দু ভোট চাই, জাতগণনাও, বিজেপির দু’নৌকায় পা?

ইন্ডিয়া খবর/INDIA
Spread the love


উচ্চবর্ণের হিন্দু ভোট নিয়ে ঝুঁকি নিতে বিজেপি পিছপা হচ্ছে না। অন‌্যদিকে, তারা জাতগণনাও চায় যাতে নিম্নবর্গের জনসংখ‌্যার ছবি স্পষ্ট হয়। 

জনগণনার সঙ্গে এবার হবে জাতগণনাও। পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ-যুদ্ধ আবহের মধ্যে এই বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের রাজনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভার কমিটি। দেশে শেষ জাতগণনা হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে, ১৯৩১ সালে। লোকসভা ভোটের আগে হঠাৎ কংগ্রেস জাতগণনার দাবি তুলেছিল। এটা তারা ভোটে অন‌্যতম ইস্যু বানিয়েছিল। সঙ্গে কংগ্রেস এটাও প্রচার করেছিল যে, নরেন্দ্র মোদির সরকার বিপুল সংখ‌্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফিরলে সংবিধান সংশোধন করে সংরক্ষণ তুলে দেবে।

কংগ্রেসের প্রচারে যে কিছুটা কাজ হয়েছিল তা বোঝা যায় ভোটের ফলপ্রকাশের পরেই। ৪০০ আসনের লক্ষ‌্যমাত্রা রেখে বিজেপি ২৫০ আসনও পার করতে পারেনি। নীতীশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডুর মতো দুই ‘প্রখ‌্যাত’ জোটবদলুর সমর্থন নিয়ে কোনওরকমে মোদি তৃতীয়বারের জন‌্য সরকার গড়তে পারলেও যে কংগ্রেসের জাতগণনার দাবিটিকে উড়িয়ে দিতে পারছেন না তা এবার জলের মতো স্পষ্ট হল। অর্থাৎ, জাতগণনার দাবিটি দেশের একটি বড় অংশে জনমানসকে স্পর্শ করছে বলে বিজেপির সম্ভাব‌্য অনুমান।

সংঘ পরিবার বরাবর সংরক্ষণ-বিরোধী। সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার কথা সংঘ প্রধানরা অনেকবার প্রকাশ্যেও বলেছেন। স্বাধীনতার পর সংরক্ষণ নিয়ে মতবিরোধ কংগ্রেসের মধে‌্যও ছিল। ১৯৩১ সালের পর গত প্রায় এক শতকে অধিকাংশ জনগণনা কংগ্রেস জমানাতেই হয়েছে। কিন্তু একবারও জাতগণনা হয়নি। দলিত ভোট পুনরুদ্ধারের আশাতেই যে কংগ্রেস গত লোকসভা ভোটের আগে আচমকা জাতগণনার দাবিটি সামনে নিয়ে চলে এসেছিল, বলা বাহুল‌্য।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রাজনীতি বিষয়ক কমিটি জাতগণনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেওয়ার পর কংগ্রেস এবার দাবি তুলেছে সংবিধান সংশোধন করে সংরক্ষণের পরিমাণ ৫০ শতাংশের বেশি করতে হবে। সংবিধানে সংরক্ষণের ঊর্ধ্বসীমা ৫০ শতাংশ করা রয়েছে। তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি সংরক্ষণ ইতিমধ্যে ৪৯.৫ শতাংশ রয়েছে। জাতগণনা হলে ভারতে বর্তমানে দলিত ও ওবিসি জনসংখ‌্যার পরিমাণ কত জেনে বেশি সংখ‌্যক মানুষকে সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।

বিজেপির বড় ভোট ব‌্যাঙ্ক উচ্চবর্ণের হিন্দু। সংরক্ষণের পরিমাণ বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই এই অংশে বিজেপির জনপ্রিয়তা কমবে। তাই বিজেপি অতীতে জাতগণনার ঝুঁকি নিতে চায়নি। কী এমন ঘটল যে তারা এই ঝুঁকি নিতে বাধ‌্য হচ্ছে? সামনে বিহারের বিধানসভা ভোট। নীতীশ-সহ বিজেপির শরিকরা জাতগণনার দাবিতে সরব। জাতগণনার সিদ্ধান্তে বিহার ভোট উতরে দেওয়ার চেষ্টা থাকবে বিজেপির। তারপরও কি কংগ্রেসের চ‌্যালেঞ্জ বিজেপির কাছে এত বড় হয়ে দাঁড়াচ্ছে যে, তারা উচ্চবর্ণের ভোট নিয়ে ঝুঁকি নিতেও পিছপা হচ্ছে না।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *