উইম্বলডনের প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে যেতেই অবসাদে ভুগছেন! মনোবিদের দ্বারস্থ হচ্ছেন তারকা

উইম্বলডনের প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে যেতেই অবসাদে ভুগছেন! মনোবিদের দ্বারস্থ হচ্ছেন তারকা

খেলাধুলা/SPORTS
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বর‍্যাঙ্কিংয়ে তিন নম্বরে রয়েছেন। উইম্বলডনেও তৃতীয় বাছাইয়ের মর্যাদা পেয়েছেন। কিন্তু প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে আলেকজান্ডার জেরেভকে। অনামী প্রতিপক্ষের কাছে হেরে গ্র্যান্ড স্ল্যাম স্বপ্ন শেষ হওয়ার পরেই জেরেভের উপলব্ধি, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। মনোবিদের সাহায্য নেওয়ার কথাও ভাবছেন জার্মান তারকা।

নিজের কেরিয়ারে ৩৮বার গ্র্যান্ড স্ল্যামে খেলেছেন জেরেভ। কিন্তু একবারও খেতাব জিততে পারেননি। চলতি বছরের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে হেরেছেন ইয়ানিক সিনারের কাছে। ফরাসি ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যান নোভাক জকোভিচের কাছে। কিন্তু উইম্বলডনের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে ২৮ বছর বয়সি টেনিস তারকাকে। ৪ ঘণ্টা ৪০ মিনিট ধরে পাঁচ সেটের লড়াই শেষে জেরেভকে হারান অনামী ফরাসি খেলোয়াড় আর্থার রিন্ডারনেচ।

খেলা শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে স্বভাবতই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন জেরেভ। হতাশ গলায় বলেন, “খেলতে নেমে বড্ড একা লাগে। মানসিকভাবে সমস্যা হচ্ছে। এই সমস্যা থেকে বেরতে প্রচুর চেষ্টা করেছি। কিন্তু তা সত্ত্বেও বারবার সেই একই সমস্যা ফিরে আসছে। সবসময় খুব একা লাগে, একদম ভালো লাগে না। আগে কখনও এরকম লাগেনি হয়তো জীবনে প্রথমবার আমাকে মনোবিদের সাহায্য নিতে হবে। এমনিতে আমার জীবনে প্রচুর সমস্যা, কিন্তু এতটা হতাশ লাগেনি কখনও। যাই করি না কেন, কিছুতেই আনন্দ খুঁজে পাচ্ছি না।”

উল্লেখ্য, একাধিকবার নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে জার্মান তারকার বিরুদ্ধে। মূলত তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকারাই সুর চড়িয়েছেন। অলিয়া শারাপোভা নামে এক টেনিস খেলোয়াড়ের সঙ্গে জেরেভের সম্পর্ক ছিল। তিনি ২০২০ সালে অভিযোগ আনেন, তাঁর মুখ ঘুসি মেরেছেন জেরেভ। বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করার চেষ্টাও করেছেন জার্মান তারকা। তারপরে ব্রেন্ডা পাতেয়া নামে এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান জেরেভ। একটি কন্যাসন্তানও হয় তাঁদের। কিন্তু জেরেভের বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ আনেন ব্রেন্ডাও। এই অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও নির্দোষ তকমা পাননি জেরেভ। এবার মানসিকভাবে নিজেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন তিনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *