কল্যাণ চন্দ্র, বহরমপুর: এপ্রিল মাসের শেষে কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন ভারতীয় প্রাণ হারিয়েছিলেন। এরপর প্রত্যাঘাতের পালা। ভারতীয় সেনা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে এরপর হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে। সেই প্রত্যাঘাতের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’। সারা বিশ্বের কাছে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ভারতীয় উইং কমান্ডার সোফিয়া এবং ব্যোমিকা। ভারতের নারীশক্তি গোটা বিশ্বের কাছে বন্দিত হয়েছে। এবার সেই নারীশক্তি দেখা গেল বহরমপুরের একটি পুজো মণ্ডপে।
বহরমপুর ব্লকের চুনাখালি সার্বজনীন পুজো কমিটির পুজো এবার ৪৮ তম বর্ষে পড়েছে। পুজোর থিম ‘বেনারসের বিশ্বনাথ মন্দির’। তবে মণ্ডপ ছাপিয়েও প্রতিমাকে নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। কারণ, দেবী দুর্গা ও লক্ষ্মী-সরস্বতীর মূর্তিতে ফুতে উঠেছে অভিনবত্ব। প্রতিমা তৈরিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ভারতীয় নারীশক্তির বীরবিক্রম গাঁথা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং একজন হেলিকপ্টার পাইলট। কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন সিনিয়র অফিসার। উইং কমান্ডার সোফিয়া এবং ব্যোমিকাকে দেবী লক্ষ্মী এবং সরস্বতীর আদল দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, দুই কন্যা হিসেবে দেবী দুর্গার দুই পাশে মণ্ডপে উপস্থিত উইং কমান্ডার ব্যোমিকা ও কর্নেল সোফিয়া কুরেশি।
চমক আরও রয়েছে। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনীরকে অসুরের রূপ দেওয়া হয়েছে। এখানে পাক সেনাপ্রধানকে বধ করেছেন স্বয়ং দেবী দুর্গা। তাঁর মাথা পড়ে রয়েছে দুর্গার পদতলে। জো কমিটির সম্পাদক কাঞ্চন মন্ডল বলেন, “ব্যোমিকা সিং ও কর্নেল সোফিয়া কুরেশি একসঙ্গে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য পেশ করে ভারতের সামরিক শক্তি এবং নারীর ক্রমবর্ধমান নেতৃত্বকে তুলে ধরেন। সামরিক নেতৃত্বে নারীদের ক্রমবর্ধমান শক্তিকে তুলে ধরেছেন ওই দুই ভারতীয় নারী। সেই নারীদের সম্মান জানিয়ে এবং নারীশক্তিকে জাগ্রত করতে এই প্রচেষ্টা।”
এবার পুজোর বাজেট ২৭ লক্ষ টাকা। মণ্ডপ ও প্রতিমা দুই’ই সাড়া ফেলেছে বলে দাবি করেছেন পুজো উদ্যোক্তারা। দর্শনার্থীদের ভিড়ও উপচে পড়ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন