নব্যেন্দু হাজরা: সল্টলেকে ই-রিকশার ধাক্কায় এক বৃদ্ধা ও তাঁর কুকুরের মৃত্যুর ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে? পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের তরফে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে বলেই খবর।
উল্লেখ্য, গত ১ মে রাতে সল্টলেকের বি এল-৯৮ ব্লকে বাড়ির সামনেই এক বৃদ্ধাকে একটি ই-রিকশা সজোরে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে গত ১৩ মে তাঁর মৃত্যু হয়। ওই মহিলার নাম শিখা দত্ত (৭২)। ই-রিকশার ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল তাঁর পোষ্যেরও। এই ঘটনার পরই প্রশ্ন ওঠে ই-রিকশার গতি এবং চলাফেরা নিয়ে। এরপরই পুলিশ ই-রিকশার গতি বেঁধে দেয়। জানানো হয়, ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার বেগে ই-রিকশা চালাতে হবে। পাশাপশি সাধারণ মানুষেরও চলাফেরা নিয়ে গাইডলাইন ঠিক করে দিয়েছে পুলিশ। সেখানে সাধারণ নিয়মগুলোই মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, গাড়ি চলবে পিচরাস্তায়, আর মানুষ হাঁটবে ফুটপাথ দিয়ে। ফুটপাথের রক্ষণাবেক্ষণ করবে পুরসভা, বাকিটা দেখবে পুলিশ। রাস্তার ধার দিয়ে হাঁটবে মানুষ। যেখানে রাস্তার ফুটপাথ নেই, সেখানে যেদিক দিয়ে গাড়ি আসছে, সেদিকে মুখ করে হাঁটতে বলা হয়েছে। রাস্তায় হাঁটার সময় হেডফোন বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
আগে ছিল হাতে টানা রিকশা। পুরনো প্যাডেল রিকশাতে ব্যাটারি বসিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ‘ইম্প্রোভাইজড বৈদ্যুতিক রিকশা’। এই বৈদ্যুতিক রিকশা’র কোনও রেজিস্ট্রেশন হয় না। তাই মোটর ভেহিকেলস অ্যাক্টে কোনও মামলাও হয় না। কোনও নির্দিষ্ট গাইডলাইন না থাকায় এগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে সমস্যা হয়। যার সুযোগ নিয়ে নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় বেপরোয়া গতিতে ছোটে অধিকাংশই। বেশিরভাগেরই ব্রেক ঠিক নেই। সামনে আচমকা কেউ পড়ে গেলে রিকশা দাঁড়াতে পারে না। ধাক্কা লাগে। ফলে নানা ত্রুটি বিচ্যুতি রয়েছে এই ব্যাটারিচালিত রিকশায়। যা নিয়ে বিব্রত সাধারণ মানুষ থেকে পরিবহন দপ্তরের কর্তা এমনকি পুলিশও।