ইস্তফাপত্রে লেখা ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ’! নতুন বিতর্কে পানিহাটির মলয় রায়

ইস্তফাপত্রে লেখা ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ’! নতুন বিতর্কে পানিহাটির মলয় রায়

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


অর্ণব দাস, বারাকপুর: পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যানের পদত্যাগপত্রে ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ’ লেখা নিয়ে নতুন করে বিতর্কে জড়ালেন মলয় রায়। বৃহস্পতিবার এদিন নিজেই তিনি পদত্যাগপত্রে লেখা বয়ান প্রসঙ্গে মলয়বাবু মুখ খুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, “আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ যে মিথ্যা, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম তাতে ক্লিনচিট দেওয়ার পরেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি সম্মান জানিয়ে, ওনার নির্দেশ মত বুধবার সন্ধ্যায় পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছি। পদত্যাগ পত্রে লিখেছি মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে পদত্যাগ করলাম।” এদিন তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে ‘খেলা হবে’ স্লোগানও। তা কীসের ইঙ্গিত? জল্পনা শুরু হয়েছে এই মন্তব্য নিয়েও। মলয় রায়ের ইস্তফাপত্রে মুখ্যমন্ত্রীর নাম লেখা নিয়ে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “উনি (মলয় রায়) কী লিখেছেন, বলতে পারব না। তবে আমি হলে পদত্যাগ পত্রের মুখ্যমন্ত্রীর নাম লিখতাম না।”

ইস্তফাপত্রে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পদত্যাগ লেখা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হতেই নতুন চেয়ারম্যান কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনার বদলে পদত্যাগ গ্রহণ হবে কি না, তা নিয়েও জলঘোলা করেছেন মলয় রায়। নিয়ম অনুযায়ী, আগামী সাতদিনের মধ্যে বোর্ড অফ কাউন্সিলরের বৈঠক ডাকতে হবে চেয়ারম্যানকে। সেই বৈঠকে এই পদত্যাগ গৃহীত হওয়ার পরই নতুন চেয়ারম্যান হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা। আগামী সোমবার বোর্ড অফ কাউন্সিলের সম্ভাব্য বৈঠক ডাকবেন জানিয়ে মলয় রায়ের মন্তব্য, “আমি পদত্যাগ পত্র দেওয়ার পরই খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন খেলা চলেছে, পদত্যাগের প্রক্রিয়াও চলছে। বোর্ড অফ কাউন্সিলের মিটিংয়ে ঠিক হবে সেই পদত্যাগ পত্র গ্রহণ হবে কি না। নো-কনফিডেন্স থাকবে নাকি কনফিডেন্স হবে, খেলা অনেক বড়।” সেই বৈঠকে গোপন ব্যালটে ভোটের প্রসঙ্গ উসকে দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “প্রয়োজনে গোপন ব্যালটেও কাউন্সিলরেরা ভোট দিতে পারেন। গণতান্ত্রিক এই প্রক্রিয়ায় কাউন্সিলরেরা আমার উপর আস্থা না রেখে অন্য কারোর উপর আস্থা রাখলে সে চেয়ারম্যান হবেন। আমি চাইছি জোর করে নয়, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বেঙ্গল মিউনিসিপাল অ্যাক্ট মেনে সবটা করা হোক।”

বুধবার দিনভর নাটকের পর সন্ধ্যায় পুরসভার দুই আধিকারিকের মাধ্যমে বারাকপুরের মহকুমা শাসকের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠান পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় রায়। পরের দিনও তাঁর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করা নিয়েও শুরু হয়েছে আলোচনা। যদিও তাঁর দাবি, “পদত্যাগ পত্র গ্রহণ না হওয়া পর্যন্ত আমি চেয়ারম্যান পদেই রয়েছি।” গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণ, মলয় রায় নিজেই পদত্যাগ পত্রের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের কথা উল্লেখ করে পক্ষান্তরে সকল কাউন্সিলরের কাছে দলনেত্রীর বার্তা তুলে ধরেছেন। তারই প্রতিফলন হিসাবে বোর্ড অফ কাউন্সিলের বৈঠকে ৩৫ জনের মধ্যে ৩৩ জন তৃণমূল কাউন্সিলের ইস্তফা গ্রহণের পক্ষেই মত দেবেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *