প্রসেনজিৎ দত্ত: মরশুমে মোহনবাগানের সবচেয়ে বড় হারটি এসেছিল বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে। তারপর অবশ্য ঘরের মাঠে জিতেছিল। লিগ শিল্ডও কার্যত হাসতে হাসতে জিতেছে মোহনবাগান। রেকর্ড গড়েছে ক্লিনশিটে। ফাইনালে সামনে সেই সুনীল ছেত্রীর দল। এবার কে এগিয়ে? সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে প্রাক্তন ফুটবলার মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য জানালেন, ‘মোহনবাগান ৭০ শতাংশ এগিয়ে’। দু’দলের শক্তি বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, ঘরের মাঠে দর্শক সমর্থন বাড়তি শক্তি জোগাবে শুভাশিসদের।
দুই প্রধানেই খেলেছেন মনোরঞ্জন। তবে বেশিরভাগ সময়টা কাটিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলেও। তিনিও বলছেন, বাংলার ফুটবলের স্বার্থে আইএসএল কাপ আসুক সবুজ-মেরুন শিবিরে। তবে সাবধানও করে রাখছেন প্রাক্তন ডিফেন্ডার। তাঁর বক্তব্য, “ফাইনালে কী হবে এভাবে তো বলা যায় না। খুবই কঠিন একটা ম্যাচ হতে চলেছে। তবে ৭০ শতাংশ এগিয়ে থেকে শুরু করবে মোহনবাগান। অন্যদিকে কিন্তু সুনীল ছেত্রীর মতো ফুটবলার রয়েছে। ও গোলটা ভালো চেনে। পুরো নব্বই মিনিট না খেললেও এবার কিন্তু অনেকগুলো গোল করেছে। তাছাড়াও বেঙ্গালুরু প্লে অফে অসাধারণ খেলেছে।”
কিন্তু ঠিক কোথায় এগিয়ে মোলিনার দল? মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যের বিশ্লেষণ, “মোহনবাগানের ফরওয়ার্ড লাইন অসাধারণ। যে কেউ গোল করতে পারে। এটা কিন্তু অন্যদের থেকে মোলিনার দলকে এগিয়ে রেখেছে।” তাছাড়া আরেকটা শক্তির কথাও বলছেন তিনি। ঘরের মাঠ যুবভারতীতে হাজার-হাজার সমর্থকের উৎসাহ। কিংবদন্তি ডিফেন্ডার বলছেন, “সমর্থকরা কিন্তু সবুজ-মেরুনের হয়ে গলা ফাটাবে। যেটা মোহনবাগান ফুটবলারদের উজ্জীবিত রাখবে।
দুই দল ঠিক কোন স্ট্র্যাটেজিতে খেলতে পারে, তারও ভবিষ্যদ্বাণী করে রাখছেন তিনি। বলছেন, “মনে হয় না কোনও দলই শুরু থেকে ওপেন ফুটবল খেলবে। যে দল চাপ নিতে পারবে, তারাই জিতবে। তবে দুই দলের ডিফেন্ডাররা কিন্তু ফারাক গড়ে দিতে পারে।” তবে যেটাই হোক না কেন, তিনি চাইছেন মোহনবাগানই শেষ পর্যন্ত আইএসএল কাপ ঘরে তুলুক। তাঁর সাফ বক্তব্য, “আমি ইস্টবেঙ্গলে বেশি খেলেছি। সেই অর্থে ইস্টবেঙ্গলের প্রতি আমার টান বেশি। কিন্তু চাইব, বাংলার ফুটবলের স্বার্থে মোহনবাগান আইএসএল কাপ জিতুক।”