স্টাফ রিপোর্টার: জেসন কামিংস কখনও টেনশন নেন না। পরিস্থিতি যতই চাপের হোক না কেন, তাঁর মুখ থেকে বেরিয়ে আসে একটাই শব্দ, “আরাম সে।” রবিবাসরীয় ডার্বির ঠিক চব্বিশ ঘন্টা আগে বরাবর যেমন কামিংসকে দেখে আসেন মোহনবাগান সমর্থকরা, একই রকম মেজাজে পাওয়া গেল। হাসতে হাসতে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের কাছে ডার্বির টিকিটের খোঁজ করে গেলেন। বলে গেলেন, তাঁরও নাকি টিকিট প্রয়োজন।
টিকিটের হাহাকার প্রচণ্ড। শুক্রবার রাত থেকেই মোহনবাগান তাঁবুর বাইরে লাইন দিয়েছিলেন মোহনবাগান সমর্থকরা। ডার্বির একটা টিকিটের জন্য। ঘরোয়া লিগের ডার্বি হলেও সেই ডার্বিতে সিনিয়র দল খেলেনি। ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালে বিদেশি সমৃদ্ধ দুই প্রধানের সিনিয়র দল খেলতে নামবে। স্বাভাবিকভাবেই টিকিটের হাহাকার চোখে পড়ছে।
এই প্রবল প্রত্যাশার চাপ নিয়েও মাথাব্যথা নেই কামিংসের। বলছেন, “এই প্রত্যাশার চাপ আমার ভালোই লাগে।” তবে প্রতিপক্ষ নিয়ে চিন্তিত নন তিনি। আরও বলেন, “ওদের নতুন ফুটবলার নাকি নতুন দল এই সব নিয়ে ভাবতেই চাইছি না। আমরা শুধু নিজেদের নিয়েই ভাবছি। বলতে পারেন ইস্টবেঙ্গল নিয়ে ভাবছিই না।” ভালো ছাত্ররা যেমন পরীক্ষার আগের দিন প্রচুর পড়াশুনা করে না। এদিনও ম্যাকলারেনদের বেশি অনুশীলন করাননি মোলিনা। বড় ম্যাচের আগের দিন কিছুক্ষণ সেটপিস, কিছুক্ষণ শট প্র্যাকটিস আর কিছুক্ষণ পেনাল্টি অনুশীলন করিয়ে ছেড়ে দেন। মনবীর, শুভাশিস, কিয়ানরা চোটের জন্য নেই এই ম্যাচে। তবে মনবীর না থাকলেও পরিবর্ত ফুটবলাররা তাঁর অভাব বুঝতে দেবেন না বলেই মনে করছেন কামিংস। তিনি বলেন, “মনবীর সেরা ফুটবলার। ও অনেক সুযোগ তৈরি করে। কিন্তু ও না থাকলে যে পরিবর্তে নামবে সে-ও একই রকম ভাবে ভালো খেলবে।”
গত কয়েক মরশুম ধরে একই দল ধরে রেখেছে মোহনবাগান। দীর্ঘদিন একসঙ্গে খেলায় বোঝাপড়া ভালো রয়েছে সবুজ-মেরুন ফুটবলারদের। এটা বাড়তি অ্যাডভান্টেজ বলেও মনে করেন কামিংস। তিনি আরও যোগ করেন, “একসঙ্গে একাধিক মরশুম খেলায় মাঠে আমাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা ভালো রয়েছে। এটা আমাদের ভালো খেলতে সাহায্য করে। টম অলড্রেড পুরোপুরি সুস্থ। রক্ষণে আলবার্তোর সঙ্গে তাঁর খেলা নিশ্চিত। চোট সারিয়ে সুহেল ভাটও পুরোদমে অনুশীলন করলেন। পুরোদমে অনুশীলন করলেন দিমিত্রি পেত্রাতোসও। পুরো ফিট নন তিনি। যদিও তাঁকে পরিবর্ত হিসাবে ব্যবহার করবেন বলে জানিয়েছেন মোহনবাগান কোচ।