সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের মার্কিন সফর নিয়ে ধোঁয়াশার মাঝেই আমেরিকায় পাক দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ। মুনিরকে ‘ইসলামাবাদের কষাই’ বলে উল্লেখ করে দূতাবাসের সামনে আমেরিকায় বসবাসকারী পাক নাগরিকরা। বিক্ষোভকারীরা জেলবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থক বলে জানা যাচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, মুনিরের আমেরিকা আসার খবর পেয়ে রবিবার ওয়াশিংটনে পাকিস্তানের দূতাবাসের সামনে ভিড় জমান পাক নাগরিকরা। সেখানে বর্তমান পাক প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। রীতিমতো চিৎকার করে তাঁরা বলতে থাকেন, ‘কোথায় লুকিয়ে রেখেছেন। ওই কষাইকে বাইরে বের করুন।’ বিক্ষোভকারীদের ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডে মুনিরকে উদ্দেশ্য করে লেখা ছিল, মুনির সংবিধান লঙ্ঘনকারী, নির্বাচনে কারচুপি ও পাকিস্তানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রধান মাথা। শুধু তাই নয়, ইমরান খানের সমর্থকরা দূতাবাসের সামনে একটি ডিজিটাল ভ্যানও দাঁড় করিয়ে রাখে। যেখানে তুলে ধরা হয় মুনিরের কুকীর্তির খতিয়ান।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির অভিযোগে বর্তমানে জেলবন্দি রয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। যদিও খান সমর্থকদের দাবি, কারচুপি করে ভোটে হারানো হয়েছে ইমরানকে। এই গোটা ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও সেনা প্রধান আসিম মুনির। ইমরান সমর্থকদের অভিযোগ, পাকিস্তানের সরকারকে সরকারকে পরিচালনা করে সেখানকার সেনাপ্রধান। এই রীতি ভাঙার চেষ্টা করতেই সরানো হয়েছে ইমরানকে। অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় তাঁকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের মূল কাণ্ডারি মুনিরের বিরুদ্ধে এবার আমেরিকার মাটিতে বিক্ষোভ দেখালেন পাকিস্তানিরা।
যদিও মুনির বর্তমানে আমেরিকায় রয়েছেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রথমে শোনা যাচ্ছিল, মার্কিন সেনার প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাঁকে। যদিও পরে আমেরিকা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়, এই অনুষ্ঠানে মুনিরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে পাক সংবাদমাধ্যমের দাবি, সেনা অনুষ্ঠানে যোগ না দিলেও কূটনৈতিক সফরে রবিবার আমেরিকা পৌছেছেন পাক সেনাপ্রধান। এবং ফ্লোরিডায় আমেরিকার সেনা দপ্তরে রয়েছেন তিনি। তবে মুনিরের এই সফর নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি আমেরিকার পাক দূতাবাস।