সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি সাংসদ। লাল কার্পেটে যার হাঁটার অভ্যাস, নোংরা জল-কাদায় তিনি হাঁটবেন কেন? এদিকে নিজের লোকসভা কেন্দ্র বন্যায় ডুবেছে, না গেলেও মান থাকে না। এই দোলাচলে ‘মান’ বাঁচাতে গিয়ে কটাক্ষের মুখে পড়লেন বিহারের কাটিহারের কংগ্রেস সাংসদ তারিক আনওয়ার। এলাকার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে জল-কাদা দেখে নাক সিঁটকে শেষে চড়ে বসলেন গ্রামের এক যুবকের কাঁধে। সাংসদের সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়।
জানা গিয়েছে, গত রবিবার নিজের লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত দুই বিধানসভা অঞ্চল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ আনওয়ার। সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে নৌকা ও ট্রাক্টরে চড়ে গ্রামে ঘুরে বেড়ান ও গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। আসলে প্রবল বৃষ্টির জেরে বন্যায় ভেসে গিয়েছিল এই অঞ্চল। সম্প্রতি জল নামলেও মাথাব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছে গঙ্গার পাড় ভাঙা। একাধিক জায়গায় পাড় ভাঙার খবর পেয়ে এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে জল-কাদা দেখে বেঁকে বসেন। এরপর স্থানীয় এক যুবক তাঁকে ঘাড়ে করে নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করান। ভাইরাল সেই ভিডিওতে দেখা হয়েছে যুবকের ঘাড়ে চড়ে মুচকি হাসছেন সাংসদ। পাশে জল-কাদা ভেঙে হেঁটে যাচ্ছেন তাঁর সঙ্গে থাকা পুলিশকর্মী ও এলাকাবাসী।
कटिहार के सांसद “तारिक अनवर” ! थोड़ा भी शर्म – लिहाज बाक़ी रहता, तो राजनीति छोड़ दिए होते ??
pic.twitter.com/CdTHMUezX4— Abhishek Singh (@Abhishek_LJP) September 8, 2025
সাংসদের সেই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করে অভিষেক সিং নামে এক যুবক লিখেছেন, ‘ইনি কাটিহারের সাংসদ তারিক আনওয়ার! এনার যদি ন্যূনতম লাজ-লজ্জা থাকত তাহলে ইনি রাজনীতি ছেড়ে দিতেন।’ কমেন্টে একজন লিখেছেন, ‘একেবারে বেহায়া। অবশ্য কংগ্রেসের থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা যায় না। জামা-জুতো বাঁচাতে যুবকের ঘাড়ে চড়েছেন।’ তার নিচে একজন লিখেছেন, ‘লজ্জার মাথা খেয়ে ওই অবস্থাতেও উনি হাসছেন।’ আশিস নামে এক যুবক লিখেছেন, ‘ভাই, লজ্জা কাকে বলে তা কংগ্রেসের নেতাদের জানা নেই। এভাবেই ওনারা ‘বেতাল’-এর মতো জনতার পিঠে চড়ে দেশকে লুট করছেন।’
এসবের পর সাংসদ নিজের সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘বন্যা ও নদী ভাঙনের জেরে সাধারণ মানুষ ভীষণ সমস্যার মধ্যে। আমি সেইসব দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছি। এবং সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছি, সরকারের তরফে যেন এনাদের সাহায্য পাঠানো হয়।’ তবে ভিডিও ঘিরে বিতর্ক চরম আকার নিতেই কাটিয়ার কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, ‘সাংসদ হাঁটতে পারছিলেন না অসুস্থবোধ করছিলেন, তাই গ্রামবাসীরা তাঁকে কাঁধে করে নিয়ে গিয়েছিলেন।’